রাজশাহীর সকল দর্শনীয় স্থান ও আবাসিক হোটেলের ঠিকানা

রাজশাহী জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্যরাজশাহীর সকল দর্শনীয় স্থান ও আবাসিক হোটেলের ঠিকানা সর্ম্পকে কি আপনি জানেন? আপনি কি রাজশাহী ঘুরে দেখার পরিকল্পনা করছেন? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন।

রাজশাহী-দর্শনীয়-স্থান-ও-হোটেল-ঠিকানা

রাজশাহী আমার ভীষণ প্রিয় একটি শহর। কেন জানেন? কারণ এই শহরে ইতিহাস আছে, আছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, আছে রাজকীয় আবহ, আর আছে চমৎকার মানুষ। এই লেখায় আমি শেয়ার করছি রাজশাহী ঘুরে দেখার আমার অভিজ্ঞতা, দর্শনীয় স্থানগুলোর তালিকা, থাকার উপযুক্ত হোটেলগুলোর ঠিকানা, এবং কিছু দরকারি পরামর্শ।

পোস্ট সূচীপত্র: রাজশাহী জেলার দর্শনীয় স্থান ও আবাসন ঠিকানা

রাজশাহীর সকল দর্শনীয় স্থান ও আবাসিক হোটেলের ঠিকানা

রাজশাহী—বাংলার এক নিঃশব্দ সৌন্দর্যের শহর। পদ্মা নদীর কোলঘেঁষে ছড়িয়ে থাকা এই শহরটি যেন ইতিহাস, ঐতিহ্য আর প্রকৃতির এক অপূর্ব মিলনমেলা। এখানে যে কেউ এলেই প্রথমে মুগ্ধ হবে এখানকার পরিচ্ছন্নতা, নীরব শান্ত পরিবেশ আর ছিমছাম শহরজীবনে। রাজশাহীতে ঘুরতে এসে এমন নির্মল বাতাস আর অতিথিপরায়ণ মানুষ পেয়ে আপনার মনটা একেবারে ভালো হয়ে যাবে। রাজশাহীর খাবার, বিশেষ করে আমের স্বাদ, আর পাখি ডাকা বিকেলগুলো মনে আজও রয়ে গেছে।

আরো পড়ুন: বাংলাদেশের ৬৪ জেলার দর্শনীয় স্থান 

অনেকে বলে, "রাজশাহীতে ঘোরার মতো কিছু নেই।" কিন্তু আমি বলব, একটু খুঁটিয়ে দেখলে এখানে প্রচুর দর্শনীয় স্থান আছে—সাহিত্য, ইতিহাস আর প্রকৃতিপ্রেমী সকলের জন্য কিছু না কিছু থাকেই। আর ভ্রমণের সময় নিশ্চিন্তে থাকার জন্য বেশ কিছু সুন্দর ও সাশ্রয়ী আবাসিক হোটেলও রয়েছে।  চলুন একটু ঘুরে দেখি রাজশাহীর সকল দর্শনীয় স্থান ও আবাসিক হোটেলের ঠিকানা—আপনার পরবর্তী রাজশাহী ভ্রমণকে আরও সহজ, আরামদায়ক ও উপভোগ্য করে তুলতেই আমার এই ছোট্ট প্রয়াস।

রাজশাহীর দর্শনীয় স্থানগুলো

১. বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর
রাজশাহী শহরের একদম প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শনে ঠাসা এই জাদুঘর দেখে সত্যিই মনে হবে আপনি সময়ের পেছনে হাঁটছেন।

২. পুঠিয়া রাজবাড়ি ও মন্দির
রাজশাহী শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে। দারুণ সুন্দর স্থাপত্যশৈলী আর মনোমুগ্ধকর পুকুরঘেরা মন্দিরসমূহ আপনার নজর কাড়বেই।

৩. রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
শুধু পড়াশোনার জায়গা না, এর সবুজ প্রকৃতি আর নিঃশব্দ পরিবেশ সত্যিই মন ছুঁয়ে যায়।

৪. পদ্মা নদীর পাড়
বিকেলের দিকে হালকা হাওয়ায় পদ্মার পাড়ে হাঁটতে হাঁটতে সূর্য ডুবে যেতে দেখা—এককথায় অসাধারণ!

৫. শহিদ কামারুজ্জামান স্মৃতি চত্বর
সাজানো গোছানো চত্বর, শহরের মাঝে এক শান্তিপূর্ণ জায়গা।

৬. আম বাগান (গ্রীষ্মকালে)
রাজশাহী মানেই আমের রাজ্য! মে-জুন মাসে এলে চারদিকে শুধু আম আর আম। শহর সংলগ্ন তাহিরপুর, গোদাগাড়ী অঞ্চলে অনেক বাগান আছে।

৭. নাটোর উত্তরা গণভবন (একদিনের ট্রিপে যেতে পারেন)
প্রেসিডেন্টের এই আবাসনটি এখন দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত। সুন্দর পার্ক, হ্রদ আর রাজকীয় ভবন মন ভালো করে দেয়।

রাজশাহীর জনপ্রিয় আবাসিক হোটেল ও তাদের ঠিকানা

এখন আসি থাকার জায়গা নিয়ে। আপনি চাইলে বাজেট ফ্রেন্ডলি হোটেলেও থাকতে পারেন, আবার চাইলে একটু বিলাসবহুল ব্যবস্থাও নিতে পারেন।

হোটেলের নাম অবস্থান যোগাযোগ
Hotel Nice International সাহেব বাজার গনক পাড়া, রাজশাহী 01740-133933
Warisan Residential Hotel সাহেব বাজার (জিরো পয়েন্ট), রাজশাহী 01793-040269
Royal Raj Hotel & Condominium গনকপাড়া, রাজশাহী 01321-231756
Parjatan Motel, Rajshahi আব্দুল মাজিদ রোড, সি এন্ড বি, রাজশাহী 02-588855237, 01991-139394
Hotel X Rajshahi চন্ডিপুর, রাজপাড়া, রাজশাহী 01844-004200
Grand River view Hotel কাজীঁহাটা, রাজশাহী 01877-766967
Aronno Resort Rajshahi শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান চিড়িয়াখানার পাশে, রাজশাহী 01326-919020
Green City International Hotel শের শাহ রোড, লক্ষীপুর, রাজশাহী 01791-711133
Hotel Star International আমচত্তর, নওদাপাড়া, রাজশাহী 01784-400700

আপনাদের জন্য ছোট্ট পরামর্শ: ফ্যামিলি নিয়ে গেলে Hotel Warisan, Hotel Mukta International,  Hotel Nice International বা Parjatan Motel বেশ নিরাপদ ও আরামদায়ক। অনলাইনে আগেভাগে বুকিং করলে ভালো রুম পেতে পারেন কম দামে।

রাজশাহী সত্যিই এমন একটা শহর, যেখানে গেলে এক ধরনের শুদ্ধতা পাওয়া যায়। শহরের ব্যস্ততা আছে ঠিকই, কিন্তু তার মাঝেও একধরনের নীরব শান্তি লুকিয়ে থাকে। আপনি যদি ইতিহাস ভালোবাসেন, বা নিছকই আমের মৌসুমে একটু আম খেয়ে বেড়াতে চান—রাজশাহী হবে আপনার জন্য পারফেক্ট ডেস্টিনেশন।

রাজশাহী ভ্রমণে কয়দিন থাকা ভালো?

প্রথমবার রাজশাহী ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন? তাহলে স্বাভাবিকভাবে একটা প্রশ্ন আসেই—আসলে কয়দিন থাকলে রাজশাহী পুরোটা দেখা যাবে? আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলি, রাজশাহী এমন একটা শহর যেটা আপনি ২ দিনেও উপভোগ করতে পারেন আবার সময় থাকলে ৩-৪ দিনেও ঘুরে ঘুরে শান্তভাবে দেখতে পারেন।

২ দিনের সংক্ষিপ্ত ট্রিপের পরিকল্পনা:

১ম দিন:
  • বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর
  • রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
  • বিকেলে পদ্মা নদীর পাড়ে সময় কাটানো

২য় দিন:

  • পুঠিয়া রাজবাড়ি ও মন্দির
  • শহিদ কামারুজ্জামান চত্বর
  • সন্ধ্যায় সাহেববাজারের হোটেল বা লোকাল খাবার

এই ২ দিনের ভ্রমণেই আপনি রাজশাহীর মূল আকর্ষণগুলো দেখে ফেলতে পারবেন।

যদি হাতে থাকে ৩-৪ দিন?

  • তাহলে আপনি আরও গভীরভাবে এক্সপ্লোর করতে পারবেন:
  • নাটোরের উত্তরা গণভবন ও রানী ভবানীর রাজবাড়ি (ডে ট্রিপে)
  • আমের মৌসুমে তাহিরপুর বা গোদাগাড়ীর আমবাগানে ঘোরা
  • চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ ও গৌড় নগরীর ধ্বংসাবশেষ (ঐতিহাসিক ভ্রমণ)

যারা শুধু দর্শন নয়, ভ্রমণকে উপভোগ করতে চান, তাদের জন্য ৩ রাত ৪ দিনের একটা প্ল্যান পারফেক্ট।

রাজশাহীর ভ্রমণযোগ্য স্থান ও থাকার হোটেলগুলোর ঠিকানা আপনি আগেই জেনেছেন। বর্তমানে অনলাইনে অনেক হোটেলের বুকিং সুবিধাও আছে। আপনি যদি ব্যস্ত জীবনের মাঝখানে একটু নিঃশব্দ শহরে ২-৩ দিন কাটাতে চান, তাহলে রাজশাহী হতে পারে আপনার আদর্শ গন্তব্য। সেখানে ইতিহাস, প্রকৃতি আর মানুষের সরলতা—সবকিছুর এক অপূর্ব মিশেল।

রাজশাহীতে একদিনেই যেসব জায়গা দেখে আসা সম্ভব 

রাজশাহী ঘুরতে আসলেন, কিন্তু সময় কম? চিন্তার কিছু নেই, একদিনেও ভালো করে শহরটা উপভোগ করা সম্ভব। একটু প্ল্যানিং করে ঠিক করলে আপনি ঘুরে নিতে পারেন রাজশাহীর সবচেয়ে জনপ্রিয় জায়গাগুলো। সকাল শুরু করুন বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর থেকে। এখানে বাংলাদেশের ইতিহাস, প্রাচীন নিদর্শন, আর সংস্কৃতির এক অনন্য পরিচয় পাবেন। এর কাছেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস আছে, সেখানে একটু হাঁটাহাঁটি করুন—সবুজে ঘেরা এই জায়গাটা সত্যিই মন ভালো করে। 

রাজশাহী-দর্শনীয়-স্থান-ও-হোটেল-ঠিকানা

মধ্যাহ্নভোজের পর আপনি যেতে পারেন পদ্মার পাড়ে। বিকেলের হালকা হাওয়ায় নদীর ধারে বসে একটু সময় কাটানো যায়, যা সত্যিই শান্তির অনুভূতি দেয়। বিকেলে বেরিয়ে পড়ুন সাহেববাজার কিংবা বর্ণালী মোড় এর দিকে। এখানে রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী হাট-বাজার, হোটেল আর রেস্টুরেন্ট আছে। শহরের ব্যস্ততা আর লোকজ সংস্কৃতি একসঙ্গে দেখতে পাবেন। যারা আগেই ভাবছেন কোথায় থাকবেন, তারা অনলাইনে সহজেই দেখতে পারেন রাজশাহীর সকল দর্শনীয় স্থান ও আবাসিক হোটেলের ঠিকানা। এতে প্ল্যান করতে সুবিধা হবে, আর ঘোরাঘুরির পথে সময়ও বাঁচবে।

রাজশাহীতে ঘুরতে আসা পরিবার বা দম্পতির জন্য সেফ জায়গা কোথায়?

অনেকেই আছেন যারা পরিবার বা প্রিয়জনকে নিয়ে ঘুরতে যেতে চান, কিন্তু নিরাপত্তা, পরিবেশ আর আরাম—এই তিনটা বিষয় নিয়ে চিন্তিত থাকেন। রাজশাহী ভ্রমণের সময় এই প্রশ্নটা প্রায়ই ওঠে: “পরিবার বা দম্পতির জন্য নিরাপদ, ঝামেলামুক্ত ও আরামদায়ক থাকার জায়গা কোনটা?” আমি নিজের অভিজ্ঞতা ভিত্তিতে বলছি—রাজশাহী এমন একটা শহর, যেখানে সেফ থাকার জায়গার অভাব নেই। তবে কিছু হোটেল ও এলাকা আছে যেগুলো পরিবার বা দম্পতির জন্য একদম আদর্শ।

পরিবার বা দম্পতি হিসেবে শহরের যে এলাকাগুলোতে থাকা নিরাপদ ও আরামদায়ক হবে:

  • সাহেববাজার (সেন্ট্রাল লোকেশন)
  • পদ্মা নদীর পাশের এলাকা (প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য)
  • বর্ণালী মোড় (নিরিবিলি ও তুলনামূলকভাবে কম ভিড়)

এইসব জায়গা থেকে আপনি খুব সহজেই রাজশাহীর সকল দর্শনীয় স্থান ও আবাসিক হোটেলের ঠিকানা খুঁজে বের করতে পারবেন কিংবা দ্রুত যাতায়াত করতে পারবেন।

যেসকল হোটেলগুলো বেশি নিরাপদ:

Warisan Residential Hotel

  • নিরাপদ ও পরিষ্কার পরিবেশ
  • পরিবারবান্ধব রুমের ব্যবস্থা
  • স্টাফরা পেশাদার ও সহায়তাকারী
  • পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা (সিসিটিভি, রিসেপশন সাপোর্ট)
  • শহরের ভালো লোকেশনে অবস্থান 

এই সব কারণে এটি পরিবার বা দম্পতিদের জন্য নিরাপদ ও আরামদায়ক।

Parjatan Motel (বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন), রাজশাহী: 

  • এটি বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন পরিচালিত একটি সরকারি মোটেল—নির্ভরযোগ্যতা ও সেবার মান নিয়ে নিশ্চিন্ত থাকা যায়।
  • রয়েছে সিসি ক্যামেরা, নিরাপদ পার্কিং ও সদা প্রস্তুত স্টাফ, যা নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
  • রাজশাহী শহর শান্ত ও অপরাধপ্রবণতা কম, তাই বেড়ানোর সময় মানসিক প্রশান্তি থাকে।
  • রুমগুলো পরিষ্কার, প্রশস্ত ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধায় সজ্জিত—যেমন ফ্রি ওয়াই-ফাই, হট শাওয়ার, আর বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ।

মোটেলটি নদীর পাশে শান্ত লোকেশনে অবস্থিত, শহরের ভিড় থেকে দূরে, যা পরিবার বা দম্পতিদের জন্য এক নিঃশব্দ আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করে। সব মিলিয়ে, এটি নিরাপদ, শান্ত এবং সেবামূলক একটি জায়গা—যা পরিবারের সাথে নিশ্চিন্তে কাটানোর জন্য এক আদর্শ ঠিকানা। এছাড়াও আরো রয়েছে-  Hotel Nice International, Hotel X Rajshahi, Grand River view Hotel ইত্যাদি। 

রাজশাহী-দর্শনীয়-স্থান-ও-হোটেল-ঠিকানা

একটি বিশেষ টিপস জানিয়ে রাখি আপনাদের রাজশাহীতে হোটেল নেওয়ার আগে পরিচয়পত্র (NID) সাথে রাখুন কারণ এটি বেশিরভাগ হোটেলে দেখাতে হয়। আগে থেকে ফোন করে বুকিং দেওয়ার চেষ্টা করুন এবং হোটেল রেটিং ও অতিথিদের রিভিউ পড়ে সিদ্ধান্ত নিন। 

রাজশাহীর বিখ্যাত খাবার ও কোথায় পাবেন

রাজশাহীতে ঘুরতে এসে শুধু ইতিহাস বা প্রকৃতি দেখেই যদি চলে যান, তাহলে অনেক কিছু মিস করবেন—বিশেষ করে এখানকার সুস্বাদু খাবারগুলো!

কিছু জনপ্রিয় খাবার ও তাদের ঠিকানা: 

রাজশাহীর আম (গ্রীষ্মে) – বানেশ্বর বাজার, তাহেরপুর, গোদাগাড়ী বা লোকাল ফলের হাটে পাবেন একেবারে গাছপাকা ফ্রেশ আম

চমচম (পাকুড়িয়া) – সাহেববাজার ও আশপাশের দোকানে “অরিজিনাল চমচম” খুঁজে পাবেন

পদ্মার ইলিশ – পদ্মার তীরে মাছ বাজারে বা লোকাল রেস্টুরেন্টে

মাটন তেহারি ও বিফ কালাভুনা – ‘Spice & Herbs’, ‘Saffron Restaurant’, ‘Mezbaan’ এগুলো ভালো রেটিং পাওয়া রেস্টুরেন্ট।

যারা রাজশাহীর বিখ্যাত খাবার এবং কোথায় পাওয়া যায় তার বিস্তারিত ঠিকানা খুঁজছেন তাদের জন্য আমার রাজশাহীর বিখ্যাত সব স্ট্রিট ফুড, গরুর কালাভুনা ও ঘরোয়া খাবার কোথায় পাওয়া যায় এই লিখাটি কাজে আসতে পারে। 

রাজশাহীতে ঘুরতে গেলে কীভাবে পরিকল্পনা করবেন?

রাজশাহীতে ঘোরার পরিকল্পনা করতে হলে আগে একটু গুছিয়ে ভাবা দরকার—কয়দিন থাকবেন, কোথায় থাকবেন, আর কী কী দেখবেন। প্রথমে দেখে নিন রাজশাহী শহরের দর্শনীয় স্থান ও ভালো হোটেলগুলোর ঠিকানা। এতে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন কোন জায়গা কোন এলাকার কাছাকাছি।

সংক্ষিপ্ত ভ্রমণ পরিকল্পনা:

১ম দিন: বরেন্দ্র জাদুঘর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, পদ্মার পাড়

২য় দিন: পুঠিয়া রাজবাড়ি, শহিদ চত্বর, সাহেববাজারে কেনাকাটা

৩য় দিন (ঐচ্ছিক): নাটোর বা চাঁপাইনবাবগঞ্জ ডে ট্রিপ

যারা রাজশাহীতে ২ দিনে কীভাবে ঘোরার প্ল্যান করবেন হোটেলসহ এমন গাইড খুঁজছেন, তাদের জন্য এই ধরনের পরিকল্পনা কার্যকর হতে পারে।

আমার মন্তব্য

রাজশাহী আমার শহর। ছোটবেলা থেকে এখানেই বেড়ে উঠেছি, তাই এই শহরের প্রতিটি রাস্তা, গলি, মানুষ – সবকিছুই আমার খুব আপন। পদ্মার পাড়ে বিকেল বেলা হাওয়া খাওয়া, বরেন্দ্র জাদুঘরে ক্লাস শেষে ঢু মারা, কিংবা সাহেববাজারের ব্যস্ততা – এসবই আমার দিনের অংশ। রাজশাহীর সৌন্দর্য কেবল তার স্থাপত্য বা ইতিহাসে নয়, বরং এখানকার মানুষের ব্যবহার, শান্ত পরিবেশ আর সহজ জীবনে।

অনেকেই অনলাইনে রাজশাহীর সকল দর্শনীয় স্থান ও আবাসিক হোটেলের ঠিকানা খুঁজে ঘুরতে আসে। তাদের জন্য আমার এই ছোট্ট চেষ্টা। তবু আমি একটি কথা বলতে চাই – রাজশাহী শুধু চোখে দেখার বিষয় না, এটা মন দিয়ে অনুভব করার একটা জায়গা। রাজশাহী নিয়ে আরো বিস্তারিত তথ্য জানতে কমেন্ট করুন অথবা আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সংসার পেজের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url