বর্ষাকালে কি কি সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত - ৮টি উপায়
বর্ষাকালে কি কি সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত তা নিয়ে অনেকেই ভাবেন শুধু ঠান্ডা জ্বর এড়িয়ে চলাই যথেষ্ট। কিন্তু বাস্তবে মেঘলা আকাশ, জমে থাকা পানি আর হঠাৎ বৃষ্টির মতো নানান সমস্যার মোকাবিলা করাই বর্ষকালের চ্যালেঞ্জ।
আমার অভিজ্ঞতায়, বর্ষাকালে স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় জানা খুব জরুরি। কারণ এই
সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া থেকে শুরু করে মন মেজাজ এমনকি খাওয়া দাওয়াতেও
প্রভাব পড়ে। তাই বর্ষাকালে কি কি সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত তা নিয়ে নিজের
অভিজ্ঞতা থেকে শেয়ার করছি ৮টি প্রাসঙ্গিক উপায় যা বর্ষাকালে সুস্থ রাখতে সাহায্য
করবে।
পোস্ট সূচীপত্র: বর্ষাকালে শরীর ভালো রাখার উপায়
- বর্ষাকালে কি কি সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত
- বিশুদ্ধ পানি পান নিশ্চিত করা
- মশা ও জীবাণু প্রতিরোধ সচেতনতা
- ঠান্ডা-জ্বর হলে ঘরোয়া চিকিৎসা
- পরিষ্কার ও শুকনো পোশাক পরার অভ্যাস
- পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম
- হালকা ব্যায়াম চালিয়ে যাওয়া
- মানসিক চাপ কমানো ও প্রশান্তি খোঁজা
- ওষুধ বা সাপ্লিমেন্ট নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ
- আমার পরামর্শ
বর্ষাকালে কি কি সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত
বর্ষাকাল মানেই একদিকে ঠান্ডা হাওয়া, টিপটিপ বৃষ্টি আর প্রকৃতির এক শান্তরূপ, অন্যদিকে নানা রকম স্বাস্থ্যঝুঁকি। এ সময়ে সর্দি-কাশি, জ্বর, ডায়রিয়া, ত্বকের সমস্যা এমনকি ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়ার মতো রোগও বেড়ে যায়। তাই নিজের এবং পরিবারের সবার সুস্থতা বজায় রাখতে কিছু সহজ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস গড়ে তোলা খুব দরকার।
আমি নিজে চেষ্টা করি বর্ষার দিনগুলোতে একটু বাড়তি যত্ন নিতে, যেন পরিবারসহ সবাই
ভালো থাকে। কারণ ঠান্ডা লাগা এই সময় খুব সাধারণ। বাইরে গেলে ছাতা, রেইনকোট সঙ্গে
রাখাটা এখন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। খাওয়া-দাওয়ার দিক থেকেও সতর্ক থাকি। এই সময়
বাইরের ঝাল ভাজাভুজি যতই লোভনীয় হোক না কেন, আমি তা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে। ঘরের
গরম খাবার, লেবু, আদা, কালোজিরার মতো ঘরোয়া জিনিসগুলো বেশি করে খাই। যা শরীরের
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
আরেকটা বিষয় আমি খুব গুরুত্ব দিই বাড়ির চারপাশে যাতে পানি জমে না থাকে। মশা থেকে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ার ভয় তো এখন আমদের সবারই জানা। বর্ষাকালে মানসিকভাবেও অনেক সময় একটু খারাপ লাগে, তাই এই সময় নিজেকে ভালো রাখার জন্য নিজের পছন্দের কাজগুলো করি, মাঝে মাঝে প্রিয় বই পড়ি, চা খাই, বিনোদমূলক কিছু দেখি নাহলে বাসার মানুষের সাথে আড্ডা দেই।
আমি মনে করি বর্ষাকালে কি কি সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত এই প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে
আছে ছোট ছোট কিছু অভ্যাসে। একটু সচেতনতা, একটু ভালোবাসা আর নিজের প্রতি যত্ন
নিলেই এই ঋতুও হয়ে উঠতে পারে আনন্দ আর সুস্বাস্থ্যের উৎস।
বিশুদ্ধ পানি পান নিশ্চিত করা
বর্ষাকালে কি কি সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত এই প্রশ্নের যদি একক কোনো উত্তর দিতে হয়, তাহলে আমি নি:সন্দেহে বলব পানির প্রতি সতর্ক হোন। কারণ এই ঋতুতেই সবচেয়ে বেশি পানিবাহিত রোগ ছড়ায়। আমার জীবনের একবার তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল। বর্ষার সময় বাইরে খাওয়া এক বোতল অপরিষ্কার পানি খেয়ে আমি ডাইরিয়ায় আক্রান্ত হই। তখন থেকেই বুঝেছি বিশুদ্ধ পানি মানেই সুস্থতার প্রথম ধাপ।
বর্ষাকালে স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়গুলোর মধ্যে বিশুদ্ধ পানি পান সবচেয়ে গরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অনেকেই সেটিকে গুরুত্ব দেন না। বর্ষার সময় নলকূপ কিংবা পৌরসভার পানিতে জীবাণুর সংক্রমণ হওয়া খুব সাধারণ ব্যাপার। তাই আমি ব্যক্তিগতভাবে যত ব্যস্তই থাকি না কেন প্রতিদিনের পানির জন্য ফুটানো বা ভালো মানের ফিল্টার করা পানি ব্যবহার করি। অন্তত ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিলে বেশিরভাগ জীবাণু ধ্বংস হয়ে যায়।
বাইরে বের হলে নিজের ছোট পানির বোতল সঙ্গে নিয়ে যাই, যাতে দোকান বা রেস্টুরেন্ট থেকে পানি খেতে না হয়। এই ছোট অভ্যাসটি আপনাকে অনেক ঝুঁকি থেকে রক্ষা করবে। শুধু বিশুদ্ধ পানি পান করলেই চলবে না। যেসব পাত্রে পানি রাখা বা খাওয়া হয় যেমন গ্লাস, জগ বা ফিল্টার সেগুলোকেও পরিষ্কার রাখতে হয়। আমি চেষ্টা করি সপ্তাহে অন্তত দুইবার এগুলো ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করতে।
এছাড়াও বর্ষায় ঠান্ডা পানি বা বরফ পানি যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ বর্ষার দিনে ঠান্ডা-জ্বর বা গলা ব্যথার ঝুঁকি বেড়ে যায়। আমি ব্যক্তিগতভাবে কুসুম গরম বা সাধারণ তাপমাত্রার পানি খাওয়ার চেষ্টা করি বিশেষ করে বৃষ্টিতে ভিজে বাড়ি ফিরলে। বর্ষায় সুস্থ থাকতে চাইলে পানির ব্যাপারে সচেতন হওয়াটাই প্রথম শর্ত। আর এটাই বাস্তবসম্মত বর্ষাকালে স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়।
মশা ও জীবাণু প্রতিরোধ সচেতনতা
বর্ষাকালে কি কি সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত, এই প্রশ্নের অন্যতম উত্তর পাবেন মশা ও জীবাণু প্রতিরোধ করার ভেতর। আমি মনে করি প্রতিবছর বর্ষা এলেই একটু বেশি সতর্ক থাকা দরকার। কারণ এই সময়েই ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া বা অন্যান্য জীবাণুবাহিত রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়। বিশেষ করে যেসব জায়গায় পানি জমে থাকে যেমন ফুলদানি, পলিথিন, এসির নিচে, ড্রেনের পাশে আর সেখানেই মশা ডিম পাড়ে। তাই আমি বর্ষা আসার আগেই বাসার চারপাশ পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করি।
বর্ষার দিন রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি ব্যবহার করবেন। আমি দেখেছি অনেকেই কয়েল বা স্প্রে ব্যবহার করেন তবে যাদের শিশু বা শ্বাসকষ্ট আছে তাদের জন্য মশারি অনেক নিরাপদ। আরো একটি জিনিস মেনে চলবেন বর্ষার সময় ঘর সবসময় শুকনো ও বাতাল চলাচল উপযোগী রাখতে চেষ্টা করবেন। কারণ ভেজা ও স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের সংক্রমণ দ্রুত ছড়ায়।
আমার মতে এই অভ্যাসগুলোই বর্ষকালে সুস্থ থাকার ঘরোয়া টিপস। এগুলো মেনে চলুন এবং পরিবারের সবাইকে এতে অভ্যস্ত করে তুলুন। তাতে করে অনেক বড় বিপদ থেকে রক্ষা পেতে পারেন। ছোট ছোট সচেতনতা যেমন মশা নিধনে নিয়মিত স্প্রে করা বা জমে থাকা পানি ফেলে দেওয়া, তেমনই জীবাণু প্রতিরোধে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, ঘর নিয়মিত পরিষ্কার রাখা এসব অভ্যাস আমাদের সুস্থ রাখবে।
বর্ষাকালে শরীর ভালো রাখার উপায় খুঁজতে হলে আমাদের পরিবেশকেই প্রথমে সুস্থ রাখতে হবে। কেননা জীবাণু বা মশা নিজেরা আসে না, আমরা তাদের সুযোগ করে দিই। একটু সচেতনতা, একটু যত্নই পারে আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে অনেক বড় বিপদ থেকে রক্ষা করতে।
ঠান্ডা-জ্বর হলে ঘরোয়া চিকিৎসা
বর্ষায় প্রায়ই ঠান্ডা জ্বরে আক্রান্ত হওয়া খুবই সাধারণ বিষয়। হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া, ঘেমে গা ঠান্ডা লাগা অথবা ভেজা জামা কাপড়ে বেশি সময় থাকলেই ঠান্ডা জ্বর দেখা দেয়। আমি নিজেও প্রায় এমন সমস্যায় পড়ি। তবে এক্ষেত্রে হুট করেই হাসপাতাল ছুটতে হয় না। সাধারণ কিছু ঘরোয়া চিকিৎসাতেই আপনি সুস্থ থাকতে পারবেন।
আমার সবচেয়ে প্রিয় সমাধান হলো আদা, লেবু, গরম পানি। এক কাপ গরম পানিতে আদা কুচি, এক চা চামচ মধু ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে দিনে ২-৩ বার খেলে গলা ব্যথা ও কাশি অনেকটা শান্তি পাওয়া যায়। এছাড়া রসুন দিয়ে রান্না করা স্যুপ বা পাতলা খিচুড়িও শরীরকে গরম রাখে ও রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। আমি আরও লক্ষ্য করেছি বর্ষাকালে ঠান্ডা জ্বর হলে পর্যাপ্ত বিশ্রাম আর গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করাও খুব কার্যকর। নাক বন্ধ থাকলে ভাপ নেওয়া, বিশেষ করে ইউক্যালিপটাস অয়েল দিয়ে অনেক স্বস্তি পাওয়া যায়।
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশে প্রথম মাস্টার কার্ড চালু করে কোন ব্যাংক
সবচেয়ে বড় কথা এমন সময় শরীরকে হালকা খাবার দিতে হয় এবং পর্যাপ্ত পানি খেতে হয় দুধ-হলুদ বা লবন-গরম পানিও বেশ কাজে দেয়। এসব ছোট খাটো টোটকাই প্রকৃত অর্থে বর্ষাকালে শরীর ভালো রাখার উপায়। আমার পরিবারের সকলে এই পরীক্ষিত পদ্ধতি মেনে চলে। তবে ২-৩ দিনের বেশি সমস্যা থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
পরিষ্কার ও শুকনো পোশাক পরার অভ্যাস
বর্ষাকালে কি কি সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত তার সহজ এক উপায় হলো পরিষ্কার ও শুকনো পোশাক পরা। অনেকেই বৃষ্টির দিনে ভেজা জামা, ভেজা মোজা বা স্যাঁতসেঁতে পোশাক পরে ঘন্টার পর ঘন্টা থাকেন যা ঠান্ডা জ্বর বা ত্বকের সংক্রমণের কারণ। তাই আমি ভিজে গেলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জামা বদলে ফেলি। বর্ষায় হালকা ও সহজে শুকায় এমন জামা ব্যবহার করাই বুদ্ধিমানের কাজ। বিশেষ করে মোজা, অন্তর্বাস কিংবা বাচ্চাদের পোশাক এসব নিয়ে বেশি সতর্ক থাকা দরকার।
অনেক সময় মনে হয় জামাটা তো সামান্য ভিজেছে, পরে ফেললে কিছু হবে না। কিন্তু এই সামান্য অসতর্কতােই অসুস্থতার কারণ হতে পারে। তাই বর্ষাকালে স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে এই ছোট ছোট সচেতনতা আপনাকে অনেক শারীরিক সমস্যার হাত থেকে বাঁচাতে পারে।
পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম
বর্ষাকালে স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়ের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম। বর্ষার সময় নানা রোগের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ায় আমাদের শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও শক্তিশালী রাখাটা জরুরি। আমি নিজে বর্ষা মৌসুমে চেষ্টা করি প্রতিদিন টিকমতো সময় করে ঘুমাতে এবং শরীরকে পূর্ণ বিশ্রাম দিতে। কাজের চাপে বা আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়লে রোগ সংক্রমণের আশঙ্কা অনেক বেড়ে যায়।
তাই বর্ষাকালে রাতের ঘুম কমানো বা কাজের চাপ বেশি নেওয়া মোটেও ভালো কাজ না। রাতে অন্তত ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানো এবং দিনে প্রয়োজনে ছোট্ট বিরতি নেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলন। এই সহজ অভ্যাসই আপনার শরীরকে সুস্থ ও শক্তিশালী রাখতে সাহায্য করবে।
হালকা ব্যায়াম চালিয়ে যাওয়া
অনেকেই ভাবেন বৃষ্টি হলে ঘর থেকে বের হয়ে ব্যায়াম করা কঠিন বা ঠিক না। কিন্তু বর্ষাকালে শরীর ভালোর রাখার উপায় হিসেবে ব্যায়াম অব্যাহত রাখা বিশেষ দরকার। বর্ষার আর্দ্রতা এবং ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে শরীর একটু আলস্য অনুভব করতে পারে, এতে করে ফুসফুস ও রক্তসঞ্চালন দুর্বল হয়ে যেতে পারে। তাই আমি বর্ষাকালে গরম ও শুকনো সময় বেছে নিয়ে হালকা যোগব্যায়াম বা হাটাহাটি করার চেষ্টা করি।
যদি বাইরে বের হওয়া সম্ভব না হয় তবে ঘরের ভেতরেই কিছু স্ট্রেচিং ও শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করা যেতে পারে। এর ফলে শরীর সচল থাকে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং মন মানুসিকতাও ভালো থাকে। তাই বর্ষাকালে শরীর ভালো রাখার উপায় হিসেবে ব্যায়াম হতে পারে এক সহজ এবং কার্যকরী টিপস।
মানসিক চাপ কমানো ও প্রশান্তি খোঁজা
অনেকের মনে হতে পারে মানসিক চাপ বা প্রশান্তির খোজার ভেতর বর্ষাকালে কি কি সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। বর্ষার অবিরাম বৃষ্টি, মেঘলা আকাশ আর ঘরবন্দি সময় আমাদের অনেকর মনে বিষন্ন ও উদ্বিগ্ন করে তুলতে পারে। আমার নিজেরই বর্ষাকালে মানসিক চাপ কমাতে ছোট ছোট আনন্দের মুহূর্ত খুঁজে বের করা জরুরি মনে হয়। কখনও বই পড়ি, কখনও ভালো গান শুনি, আবার কখনও বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া, কথা বলা এগুলোতে আমাকে এক ধরনের প্রশান্তি দেয় যা শরীরকেও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুনঃ রান্নাঘর পরিষ্কার ও পোকা মুক্ত রাখতে কার্যকরী কিছু টিপস
বর্ষার ধীর গতির আবহাওয়ায় নিজের জন্য একটু সময় বের করে ধ্যান বা শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করলে মন শান্ত থাকে, উদ্বেগ কমে যায়। মানসিক চাপ কম থাকলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে। তাই বর্ষাকালে স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে জানতে চাইলে বলব মনকে ভালো রাখা শিখুন, ছোট্ট সুখ খুঁজে নিন। কারণ সুস্থ মনেই সুস্থ শরীর বাসা বাঁধে।
ওষুধ বা সাপ্লিমেন্ট নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ
বর্ষাকালে শরীর ভালো রাখার উপায় অনেক। কিন্তু এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি হলো ওষুধ বা সাপ্লিমেন্ট নেওয়ার আগে অবশ্যই একজন যোগ্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া। বর্ষাকালে নানা রকম জ্বর, সর্দি, অজানা ব্যাথা বা অস্বস্তি দেখা দিতে পারে। তখন আমরা অনেক সময় সে অসুখ থেকে মুক্তির জন্য নিজের মতো ওষুধ সেবন শুরু করে দিই। কিন্তু এটা অনেক সময় বিপজ্জনক হতে পারে। আমি মনে করি বর্ষার সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে শরীর খুব সহজেই সংক্রমণের শিকার হয়।
তাই আমি বর্ষায় যেকোনো নতুন ওষুধ বা সাপ্লিমেন্ট নেওয়ার আগে ডাক্তার বা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সাথে আলোচনা করে নিই। কারণ তারা আমাদের শরীরের প্রকৃত অবস্থা বুঝে সঠিক পরামর্শ দিতে পারেন। বর্ষকালে কিভাবে স্বাস্থ্য ভালো রাখবেন জানতে চাইলে আমার পরামর্শ হবে এই দায়িত্বশীল আচরণ আপনার জন্য একটি বড় পদক্ষেপ।
আমার পরামর্শ
বর্ষাকালে কি কি সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত এই বিষয়টি শুধু নিয়ম না নিজের প্রতি দায়িত্ববান হওয়া। বৃষ্টির সময় পরিষ্কার পানি পান করা, হাত ধোয়া আর গোছগাছ রাখা খুব জরুরি। আর বেশি কাজ করলে শরীর দুর্বল হয়ে যায়, তাই সময় করে বিশ্রাম নিতে হবে। মানসিক চাপ কমানোও খুব দরকার, কারণ মন যদি ভালো না থাকে তাহলে শরীরও ভালো থাকে না।
বর্ষাকালে শরীর ভালো রাখার উপায় আসলে এত জটিল কিছু না। নিজের যত্ন নেওয়া, সুস্থ থাকার জন্য ছোট ছোট নিয়ম মেন চলাই মুল কথা। বর্ষায় আমার আরেকটি ছোট্ট পরামর্শ, রাস্তার পাশে বৈদ্যুতিক পোলের আশেপাশে দিয়ে চলাচল না করা। কারণ অনেক ক্ষেত্রে বৃষ্টির সময় পোল বা বিদ্যুৎ লিক করে যা মারাত্মক বিপজ্জনক হতে পারে।
সংসার পেজের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url