মাইগ্রেন এর ব্যাথা কমানোর উপায় – জেনে নিন ঘরোয়া ও প্রাকৃতিক চিকিৎসা

অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায়মাইগ্রেন এর ব্যাথা কমানোর উপায় খুঁজতে খুঁজতে আপনি কি ক্লান্ত? আমি নিজেও একসময় এমন অবস্থায় ছিলাম—যখন একটু আলো, সামান্য শব্দ, বা ফোনের স্ক্রিন মাথায় এমন এক ধরণের ঝড় তুলত, যা কাউকে বোঝানোই সম্ভব হতো না। 

মাইগ্রেনের-ব্যাথা-কমানোর-উপায়

তবে ধীরে ধীরে আমি বুঝতে শিখেছি, ভয় না পেয়ে বোঝার চেষ্টা করলেই মিলতে পারে মাইগ্রেন ব্যথা থেকে মুক্তি। চলুন আমার এই লেখায় একসাথে জানার চেষ্টা করি কিছু প্রাকৃতিক, সহজ ও বাস্তবিক মাইগ্রেন থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়, যা হয়তো আপনার প্রতিদিনের জীবনেও একটু শান্তি ফিরিয়ে আনতে পারে। 

আলোচ্য সূচীপত্র: মাইগ্রেন ব্যাথা থেকে মুক্তি পেতে ঘরোয়া ও প্রাকৃতিক চিকিৎসা

মাইগ্রেন এর ব্যাথা কমানোর উপায়

প্রিয় বন্ধুরা, যাঁরা নিয়মিত মাইগ্রেনের ব্যাথায় ভোগেন, তারা জানেন—এই যন্ত্রণা ঠিক কতটা অসহ্য হতে পারে। মাথার এক পাশে ধীরে ধীরে ব্যথা শুরু হয়ে কখনো চোখ, কপাল, গলা বা পুরো মাথাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। এই সময়টাতে শব্দ, আলো এমনকি হালকা গন্ধও অসহ্য লাগে। যেন জীবনটাই এক মুহূর্তের জন্য থেমে যায়। তবে ভয়ের কিছু নেই। কিছু সহজ অভ্যাস ও সচেতনতা মেনে চললে মাইগ্রেন এর ব্যাথা কমানোর উপায় পাওয়া সম্ভব। 

নিচে বাস্তবভিত্তিক কয়েকটি পরামর্শ দেওয়া হলো—

  • পর্যাপ্ত পানি পান করুন – শরীর যেন ডিহাইড্রেট না হয়
    অনেক সময় আমরা না বুঝেই কম পানি খাই। অথচ এটি মাইগ্রেনের একটি প্রধান কারণ। যখন শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে, তখন রক্তচাপের ভারসাম্য নষ্ট হয়, মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহে সমস্যা হয় এবং মাথাব্যথা দেখা দেয়।
  • সমাধান
    প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন। একবারে বেশি না খেয়ে বারবার অল্প করে খান।
  • শান্ত পরিবেশে বিশ্রাম নিন – আলো ও শব্দ থেকে দূরে
    মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হওয়ার আগেই যদি আপনি বুঝতে পারেন, তবে দ্রুত শান্ত একটি জায়গায় চলে যান। ঘরের আলো নিভিয়ে দিন, জানালা-পর্দা টেনে দিন, যেন বাইরের আলো বা শব্দ না আসে। চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকুন কিছুক্ষণ। এমন নিরিবিলি পরিবেশে আপনার মস্তিষ্ক আরাম পায়, চাপ কমে, এবং মাইগ্রেনের তীব্রতা ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
  • ঠান্ডা কমপ্রেস বা বরফের ব্যাগ ব্যবহার করুন
    অনেকেই মাইগ্রেনের সময় মাথায় বরফের ঠান্ডা ব্যাগ বা ঠান্ডা পানি দিয়ে কাপড় চেপে ধরলে আরাম পান। এটি রক্তনালী সংকুচিত করে, যার ফলে ব্যথা কমে। কেউ কেউ আবার গলায় বা কপালে ঠান্ডা কাপড় চেপে ধরলে ভালো বোধ করেন।
  • কীভাবে করবেন
    একটি পরিষ্কার কাপড়ে বরফ মুড়ে নিয়ে মাথার ওপর কিছুক্ষণ চেপে ধরুন। দিনে ২-৩ বার এভাবে ব্যবহার করলে ব্যথা অনেকটা প্রশমিত হবে।

এই তিনটি পদ্ধতি খুব সাধারণ হলেও, বাস্তবে অত্যন্ত কার্যকর। এগুলো নিয়মিতভাবে মেনে চললে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন। এভাবেই আমি নিজে মাইগ্রেন এর ব্যাথা কমানোর উপায় খুঁজে পেয়েছি।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে মাইগ্রেন থেকে মুক্তির উপায়

আমরা অনেকেই মাইগ্রেনের যন্ত্রণা থেকে রেহাই পেতে ওষুধের দিকে দৌড়াই। কিন্তু সবসময় ওষুধ খাওয়া তো স্বাস্থ্যকর নয়, তাই না? তাই অনেকেই চেষ্টা করেন মাইগ্রেন এর ব্যাথা কমানোর ঘরোয়া উপায় খুঁজে নিতে – যেগুলো প্রাকৃতিক, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াবিহীন এবং দীর্ঘমেয়াদে উপকারী।

আরো পড়ুন: পুরুষের প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া কেন হয়

চলুন জেনে নেই এমন কিছু বাস্তব ঘরোয়া পদ্ধতি, যেগুলো সহজলভ্য এবং অনেকের কাছেই পরীক্ষিত—

  • আদা চা: আদা প্রাকৃতিক ব্যথানাশক। ১ কাপ গরম পানিতে আদা সেদ্ধ করে মধু মিশিয়ে দিনে ২-৩ বার পান করুন। এটি মাথাব্যথা ও বমি ভাব কমায়।
  • পুদিনা পাতার রস বা তেল: পুদিনা ঠান্ডা প্রভাব ফেলে। পাতার রস বা এসেনশিয়াল অয়েল কপালে লাগালে মাথা ঠান্ডা হয়, চাপ কমে।
  • লেবু ও মধু মিশিয়ে গরম পানি: শরীর হাইড্রেট রাখতে ও টক্সিন বের করতে এই পানীয় দারুণ। এটি মাইগ্রেন কমাতে সহায়ক।
  • ঠান্ডা বা গরম কাপড়: মাথায় ঠান্ডা কাপড় বা বরফ চেপে ধরলে স্নায়ু শিথিল হয়, ব্যথা হালকা হয়। গরম পানির তোয়ালাও কাজে দেয়।
  • ল্যাভেন্ডার বা লবঙ্গের গন্ধ: এই ধরনের গন্ধ মাথার চাপ কমায় ও রিল্যাক্স করে। মাইগ্রেনের সময় ২-৩ ফোঁটা তেল ভাপে নিন বা ম্যাসাজ করুন। 

প্রাকৃতিক উপায়ে সুস্থ থাকা সম্ভব, যদি আমরা নিয়ম মেনে চলতে পারি। আজকের এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো অনেকেরই কাজে এসেছে – আপনি একবার চেষ্টা করে দেখুন। হয়তো আপনিও ওষুধ ছাড়াই খুঁজে পাবেন মাইগ্রেন থেকে মুক্তির উপায়।

মাইগ্রেন হলে কী করা উচিত

মাইগ্রেন শুরু হলে সবার আগে যা করতে হবে, তা হলো—মাথার সব কাজ বন্ধ করে বিশ্রামে চলে যাওয়া। এই সময় অতিরিক্ত আলো, শব্দ, এমনকি মোবাইল বা ল্যাপটপের স্ক্রিনও মাথাব্যথা বাড়িয়ে দিতে পারে।

তাই এই সময় যে কাজগুলো করবেন—

  • ঘরের আলো নিভিয়ে দিন
  • ফোন-কম্পিউটার একদম এড়িয়ে চলুন
  • শান্ত, ঠান্ডা জায়গায় শুয়ে চোখ বন্ধ করে বিশ্রাম নিন

অনেক সময় দেখা গেছে, দ্রুত ঘুমিয়ে পড়া মাইগ্রেনের ব্যথা কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। ঘুম শরীরকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনে এবং মস্তিষ্কের উত্তেজনা কমায়। আর যদি ঘুম না আসে, তবে চোখ বন্ধ করে ১৫-২০ মিনিট চুপচাপ পড়ে থাকুন। এতে শরীর নিজে থেকেই ধীরে ধীরে শান্ত হবে। 

ঠান্ডা না গরম, কোনটি মাইগ্রেনের জন্য ভালো

মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে ঠান্ডা ও গরম – দুটোই উপকারী হতে পারে, তবে এটা অনেকটাই ব্যক্তিভেদে নির্ভর করে। বেশিরভাগ মানুষের জন্য ঠান্ডা কম্প্রেস বেশি কার্যকর। মাথায় বরফের ব্যাগ বা ঠান্ডা পানিতে ভেজানো কাপড় চেপে ধরলে রক্তনালী সংকুচিত হয়, যেটা মাইগ্রেন এর তীব্রতা কমানোর উপায় হিসেবে কাজ করে। অন্যদিকে, কিছু মানুষের ক্ষেত্রে গরম পানিতে পা ডুবিয়ে রাখা আরাম দেয়। এতে রক্তপ্রবাহ নিচের দিকে চলে যায় এবং মাথার চাপ কিছুটা হালকা হয়। 

আরো পড়ুন: এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায় 

তাই আপনি দুটোই ট্রাই করে দেখতে পারেন—আপনার জন্য কোনটা ভালো কাজ করে। মাইগ্রেন সামলাতে নিজেকে ভালোভাবে জানা জরুরি। যেটা আপনার শরীর মেনে নেয়, সেটাই আপনার জন্য সেরা। 

মাইগ্রেনের জন্য খাবারে কোন বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে

অনেকেই জানেন না যে খাবারের সঙ্গে মাইগ্রেনের সম্পর্ক গভীর। কিছু খাবার মাইগ্রেন বাড়িয়ে দেয়, আবার কিছু খাবার ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। মাইগ্রেন এড়াতে সহায়ক খাবারগুলো সম্পর্কে আপনাদের বলি— 

মাইগ্রেনের-ব্যাথা-কমানোর-উপায়

যেসব খাবার এড়িয়ে চলবেন
  • চকোলেট – মাইগ্রেন ট্রিগার করার জন্য পরিচিত
  • চিজ ও দুগ্ধজাত খাবার – অনেকের ক্ষেত্রে ব্যথা বাড়ায়
  • ক্যাফেইন – অতিরিক্ত চা, কফি বা কোলা পান করা বিপজ্জনক
  • প্রসেসড ও প্যাকেটজাত খাবার – এসব খাবারে থাকা রাসায়নিক উপাদান মাইগ্রেন বাড়াতে পারে
যা খেতে হবে নিয়মিত
  • প্রচুর শাকসবজি ও তাজা ফল
  • উচ্চ প্রোটিনযুক্ত কিন্তু লো-ফ্যাট খাবার
  • দিনে পর্যাপ্ত পানি, অন্তত ৮-১০ গ্লাস

এসব স্বাস্থ্যকর খাবার মাইগ্রেন এড়াতে সহায়ক খাবার হিসেবে কাজ করে এবং শরীরকে ভেতর থেকে সুস্থ রাখে। একজন মাইগ্রেন রোগীর জন্য সঠিক খাবার নির্বাচন করাই হতে পারে তার দীর্ঘমেয়াদি মাইগ্রেন এর ব্যাথা কমানোর উপায়। 

যাঁরা নিয়মিত মাইগ্রেনে ভোগেন, তাঁদের জন্য কিছু দৈনন্দিন অভ্যাস

যারা প্রায়ই মাইগ্রেনের যন্ত্রণা সহ্য করেন, তাদের জন্য কিছু ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস দীর্ঘমেয়াদে দারুণ উপকারে আসতে পারে। এগুলো শুধু মাথাব্যথা কমায় না, বরং জীবনযাত্রাকেই করে তোলে আরও শান্ত ও সুশৃঙ্খল।

১. নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানো ও উঠা
প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া ও জাগা মস্তিষ্কের অভ্যন্তরীণ ঘড়িকে (biological clock) সঠিক রাখে, যা মাইগ্রেন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।

২. হালকা ব্যায়ামের অভ্যাস
প্রতিদিন ২০-৩০ মিনিট হেঁটে নেওয়া, হালকা স্ট্রেচিং বা যোগব্যায়াম করলে রক্তসঞ্চালন বাড়ে এবং মাইগ্রেনের ঝুঁকি কমে। আপনাদের নিজের একটা অভিজ্ঞতার কথা বলি। আমি ব্যায়াম করতে ভালোবাসতাম। মাইগ্রেনের ব্যাথা থেকে দূরে থাকা যেনো আমি নিজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারার মত মন্ত্র শিখেছিলাম ব্যায়াম করার মাধ্যমে। 

মাইগ্রেনের-ব্যাথা-কমানোর-উপায়

৩. মানসিক চাপ কমানো
টেনশন, দুশ্চিন্তা বা উদ্বেগ সরাসরি মাইগ্রেন বাড়ায়। প্রতিদিন কিছু সময় মেডিটেশন, নামাজ বা ধ্যান করুন – এতে মন শান্ত থাকবে।

৪. স্ক্রিন টাইম কমানো
কম্পিউটার, মোবাইল বা টিভির স্ক্রিনে বেশি সময় কাটালে চোখ ও মস্তিষ্কের চাপ বাড়ে। বিশেষ করে রাতে স্ক্রিনের আলো এড়িয়ে চলুন।

এই অভ্যাসগুলো নিয়ম করে চালিয়ে গেলে এক সময় বুঝবেন, মাইগ্রেনের ব্যাথা কমানোর উপায় আসলে নিজের জীবনেই ছিল।

মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে কোন ওষুধগুলো কার্যকর

সব ঘরোয়া উপায় চেষ্টা করেও যদি মাইগ্রেন এর ব্যাথা কমানোর উপায় না মেলে, তখন অনেক সময় ওষুধই একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়ায়। তবে ওষুধ গ্রহণের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। আপনাদের সচারচর মাইগ্রেন এর ব্যাথা কমাতে কোন ওষুধ ভালো সে সম্পর্কে ধারণা দেই-

  • প্যারাসিটামল (Paracetamol): হালকা মাথাব্যথায় প্রাথমিকভাবে নেওয়া যায়
  • আইবুপ্রোফেন (Ibuprofen): ব্যথা ও প্রদাহ দুটোই কমায়
  • Sumatriptan: মাইগ্রেনের জন্য বিশেষভাবে নির্ধারিত ওষুধ, যা অনেক সময় দ্রুত কাজ করে
  • Naproxen: দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার ক্ষেত্রে কিছু সময় কার্যকর 

এই ওষুধগুলো কারও জন্য উপকারী হলেও, সবার শরীর একরকম নয়। বারবার ওষুধ খাওয়া নেশা বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। তাই নিজের ইচ্ছেমতো নয়—ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী মাত্রা ও নিয়মে গ্রহণ করাই নিরাপদ। আমি ব্যক্তিগত ভাবে ডাক্তারের পরামর্শে Square Pharmaceuticals কোম্পানীর Ace Plus খাই।

নারীদের মাইগ্রেনের ব্যথা কমানোর বিশেষ উপায়

নারীদের মধ্যে মাইগ্রেনের সমস্যা অনেক বেশি দেখা যায়, বিশেষ করে মাসিকের সময় বা হরমোন পরিবর্তনের সময়গুলোতে। এই সময় শরীর ও মনে নানা পরিবর্তন আসে, যা মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। 

আরো পড়ুন: সকালে খালি পেটে কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা 

চলুন জেনে নিই নারীদের জন্য কিছু কার্যকর মাইগ্রেন এর ব্যাথা কমানোর উপায়—

  • হরমোন পরিবর্তনের সময় নিজের প্রতি বিশেষ নজর দিন। পিরিয়ডের আগে-পরে বা গর্ভাবস্থায় মাইগ্রেন বেড়ে যেতে পারে। তাই এই সময় পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন, খালি পেটে থাকবেন না এবং অতিরিক্ত কাজ বা স্ট্রেস এড়িয়ে চলুন।
  • মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করুন। নারীরা অনেক সময় পরিবার, কাজ, সম্পর্ক ইত্যাদির চাপে থাকেন। এই মানসিক চাপ সরাসরি মাইগ্রেনকে প্রভাবিত করে।
  • প্রয়োজনে মাথায় ঠান্ডা কমপ্রেস ব্যবহার করুন। মাইগ্রেন শুরু হলে ঠান্ডা কাপড় বা বরফের ব্যাগ কপালে চেপে ধরুন। এই পদ্ধতি নারীদের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে কার্যকর বলে অনেকে জানিয়েছেন।
  • খাবারের প্রতি সচেতন থাকুন। হরমোন ভারসাম্য বজায় রাখতে সঠিক খাদ্যাভ্যাস জরুরি। যেমন, প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন, বেশি পানি পান করুন এবং ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামযুক্ত খাবার খান (দুধ, কলা, বাদাম)।
  • ঘুম ও বিশ্রামকে প্রাধান্য দিন। অতিরিক্ত কাজ নয়, বরং শরীরের ক্লান্তি বুঝে বিশ্রাম নেওয়া নারীদেহে মাইগ্রেন কমানোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

চাইলে গাইনী ডাক্তার বা নিউরোলজিস্টের পরামর্শ নিতে পারেন। নারীদের মাইগ্রেনের কারণ অনেক সময় অন্যরকম হয়, তাই ব্যক্তিগত পরামর্শ অনেক কার্যকর। এক কথায়, নারীদের জন্য মাইগ্রেন সামলাতে চাই নিজের শরীরের প্রতি ভালোবাসা, যত্ন ও সচেতনতা। 

ঘুম ও স্ট্রেস মাইগ্রেনের ব্যথার সঙ্গে কেমনভাবে জড়িত

মাইগ্রেন এর ব্যাথা কমানোর উপায় খুঁজতে গেলে ঘুম আর মানসিক চাপ—এই দুইটি বিষয়কে খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হয়। কারণ ঘুম কম হলে বা মানসিক চাপ বেশি থাকলে মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়ে। তাই প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম, মেডিটেশন, প্রার্থনা, বা ধ্যানের মাধ্যমে চাপ কমানো মাইগ্রেন নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদ্ধতি। 

আমার ব্যক্তিগত পরামর্শ ও অভিজ্ঞতা 

আমি নিজেও বহুদিন মাইগ্রেনের কষ্টে ভুগেছি। প্রথম প্রথম যখন মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দেয় তখনকার অভিজ্ঞতা আমি জীবনের আর দ্বিতীয় বার পেতে চাইনা। অনেক চেষ্টা-তদবিরের পর বুঝেছি, জীবনযাত্রার নিয়মে কিছু পরিবর্তন আনলেই মাইগ্রেন এর ব্যাথা কমানোর উপায় খুঁজে পাওয়া যায়। তাই আমার মতে, কৃত্রিম ওষুধে ভরসা না করে এসকল নিয়মগুলো মেনে চলতে পারেন। ভরসা রাখতে পারেন, আপনিও এ কষ্টদায়ক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে পারেন ইনশাআল্লাহ । 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সংসার পেজের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url