ভিসা কার্ড দিয়ে সর্বোচ্চ কত টাকা তোলা যায়
প্রথম মাস্টার কার্ড চালু বাংলাদেশেভিসা কার্ড দিয়ে সর্বোচ্চ কত টাকা তোলা যায়—এই প্রশ্নটি অনেকের মনে স্বাভাবিকভাবেই আসে, বিশেষ করে যাঁরা নিয়মিত এটিএম বা অনলাইন লেনদেনের জন্য ভিসা কার্ড ব্যবহার করেন।
বর্তমান ডিজিটাল যুগে ভিসা ডেবিট কার্ড উত্তোলনসীমা না জানলে অনেক সময় অনাকাঙ্ক্ষিত বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি, প্রতিটি ব্যাংকের নিয়ম ভিন্ন হলেও কিছু সাধারণ নিয়মকানুন জানা থাকলে লেনদেন সহজ ও নিরাপদ হয়। চলুন, ভিসা কার্ডের টাকা উত্তোলনসীমা আমরা একটু সহজভাবে জানার চেষ্টা করি।
সূচীপত্র: ভিসা কার্ডের মাধ্যমে দেশ-বিদেশ থেকে কত টাকা তোলা সম্ভব বিস্তারিত
- ভিসা কার্ড দিয়ে সর্বোচ্চ কত টাকা তোলা যায়
- ভিসা কার্ড দিয়ে সর্বোচ্চ কত টাকা তোলা যায় - কার্ডের ধরন অনুযায়ী উত্তোলনসীমা
- দেশীয় ও আন্তর্জাতিক উত্তোলনসীমার পার্থক্য
- ব্যাংকভেদে ভিসা কার্ড উত্তোলনসীমা
- এটিএম থেকে টাকা উত্তোলনের চার্জ ও নিয়ম
- দৈনিক ও মাসিক কত টাকা তোলা যায়
- অনলাইন ট্রান্সফার নাকি ক্যাশ উইথড্র
- ভিসা কার্ড ব্যবহারে নিরাপত্তা পরামর্শ
- ভিসা কার্ডের উত্তোলনসীমা কীভাবে বাড়াবেন
- আমার মন্তব্য
ভিসা কার্ড দিয়ে সর্বোচ্চ কত টাকা তোলা যায়
প্রথমেই বলি, ভিসা কার্ড দিয়ে সর্বোচ্চ কত টাকা তোলা যায়—এর নির্দিষ্ট উত্তর নির্ভর করে একাধিক বিষয়ের ওপর। যেমন: আপনি কোন ব্যাংকের ভিসা কার্ড ব্যবহার করছেন, আপনার কার্ডটি ডেবিট না ক্রেডিট, আপনি দেশীয় লেনদেন করছেন না আন্তর্জাতিক, ইত্যাদি।
আমি দেখেছি, বেশিরভাগ স্ট্যান্ডার্ড ডেবিট ভিসা কার্ডে দিনে ৫০-১ লাখ টাকার মত তুলতে পারেন। তবে এটি ব্যাংক ভেদে বদলে যায়। একটি স্ট্যান্ডার্ড ডেবিট ভিসা কার্ডের দৈনিক উত্তোলনসীমা একরকম এবং ক্রেডিট কার্ডের সীমা অন্য রকম। যেমন, ক্রেডিট কার্ডে এই সীমা নির্ধারিত হয় আপনার ক্রেডিট লিমিটের ভিত্তিতে, যা হতে পারে ২ লাখ টাকা বা তারও বেশি। কিছু প্রিমিয়াম বা প্লাটিনাম ভিসা কার্ডের ক্ষেত্রে দিনে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত উত্তোলনের সুযোগ থাকে, বিশেষ করে যারা উচ্চ আয় বা কর্পোরেট গ্রাহক হিসেবে বিবেচিত।
আরো পড়ুন: অস্ট্রেলিয়া ভিসা বাংলাদেশিদের জন্য
এছাড়া কিছু ব্যাংক অনলাইন অ্যাপ বা কাস্টমার সার্ভিসের মাধ্যমে আপনাকে আপনার ভিসা ডেবিট কার্ড দিয়ে এটিএম থেকে কত টাকা তোলা যায়, সেটি যাচাই করে দেখার সুযোগ দেয়। তাই এক কথায় নির্দিষ্ট না দিয়ে বলা যায়—আপনি যদি নিজের প্রয়োজন, আয়, ও ব্যাংকের সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় নেন, তাহলে সহজেই বুঝতে পারবেন আপনার ভিসা কার্ডে টাকা তোলার লিমিট কত এবং কীভাবে সীমা বাড়ানো যায়।
ভিসা কার্ড দিয়ে সর্বোচ্চ কত টাকা তোলা যায় - কার্ডের ধরন অনুযায়ী উত্তোলনসীমা
ভিসা কার্ড সাধারণত তিনটি প্রধান শ্রেণিতে ভাগ করা যায়, এবং প্রত্যেকটি কার্ডের উত্তোলন সীমা ভিন্ন ভিন্ন হয়। চলুন বিস্তারিত দেখি-
ডেবিট ভিসা কার্ড: এটি আপনার ব্যাংক একাউন্টের (সেভিংস/কারেন্ট) সাথে সরাসরি সংযুক্ত। একাউন্টে যত টাকা আছে, আপনি ততটাই উত্তোলন করতে পারবেন তার বেশি নয়। অধিকাংশ ব্যাংকে এই কার্ডের মাধ্যমে দৈনিক উত্তোলনের সীমা ৫০,০০০ টাকা থেকে শুরু করে ১,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
ক্রেডিট ভিসা কার্ড: এই কার্ডে আপনি ব্যাংকের কাছ থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ঋণ ব্যবহার করার সুযোগ পান, যাকে বলে ক্রেডিট লিমিট। আপনি এই লিমিট অনুযায়ী টাকা তুলতে পারবেন। তবে নগদ টাকা তুললে সাধারণত উচ্চ হারে সুদ প্রযোজ্য হয়, বিশেষ করে ক্যাশ অ্যাডভান্স নেওয়ার ক্ষেত্রে। কিছু কিছু প্রিমিয়াম বা কর্পোরেট ক্রেডিট কার্ডে দিনে ২ থেকে ৫ লাখ টাকারও বেশি উত্তোলন করা যায়।
প্রিপেইড ভিসা কার্ড: যদি আপনি একজন ছাত্র বা বিদেশ সফরে যাচ্ছেন, তাহলে প্রিপেইড কার্ড বেশ ভালো অপশন—আপনি আগেই যতো টাকা লোড করবেন, সেটুকুই ব্যবহার করতে পারবেন। এটি ছাত্র-ছাত্রী, ভ্রমণকারীদের জন্য উপযোগী। সাধারণত এর উত্তোলন সীমা কম হয়ে থাকে, দিনে ২০,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকার মধ্যে।
প্রসঙ্গত, ভিসা কার্ডে দৈনিক টাকা তোলার সীমা মূলত নির্ভর করে আপনি কোন ধরণের কার্ড ব্যবহার করছেন তার ওপর। সবচেয়ে বেশি উত্তোলন সীমা সাধারণত ক্রেডিট কার্ডেই পাওয়া যায়। তবে ব্যবহারকারীর প্রোফাইল, ব্যাংকের নীতিমালা, এবং নিরাপত্তা অনুমোদনের মতো বিষয়ও এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
দেশীয় ও আন্তর্জাতিক উত্তোলনসীমার পার্থক্য
বাংলাদেশে ভিসা কার্ড দিয়ে কত টাকা তোলা যায় তা নির্ভর করে ব্যাংক, অ্যাকাউন্ট টাইপ এবং আপনার ইনকামের উপর। বাংলাদেশে সাধারণত ভিসা ডেবিট কার্ড দিয়ে দৈনিক ৫০,০০০ থেকে ২,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত তোলা যায়। কিছু প্রিমিয়াম বা কর্পোরেট কার্ডে এই সীমা আরও বেশি হতে পারে। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক ভিসা কার্ড দিয়ে কত টাকা তোলা যায় তা আরও সীমিত ও নিয়মশৃঙ্খলভাবে নির্ধারিত। অনেক ব্যাংকে দিনে আন্তর্জাতিকভাবে সর্বোচ্চ ৫০০ ডলার বা মাসে ৩,০০০ ডলার পর্যন্ত উত্তোলনের অনুমতি থাকে। এছাড়া-
- ২%–৩% পর্যন্ত কারেন্সি কনভার্সন চার্জ বা ফি কাটা হয়
- কার্ডে আন্তর্জাতিক লেনদেন চালু থাকতে হয় (অনেক সময় অ্যাপ বা ব্যাংক থেকে অনুমতি নিতে হয়)
- বিভিন্ন দেশের এটিএম-এ অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ প্রযোজ্য হতে পারে
আপনি যদি বিদেশে টাকা তুলতে চান, তাহলে আগেই নিশ্চিত হয়ে নিন আপনার ভিসা কার্ড আন্তর্জাতিক লেনদেনে ব্যবহারযোগ্য কিনা, এবং আপনার জন্য কত টাকা উত্তোলনের অনুমতি আছে। তাই বিদেশে টাকা তুলতে হলে অবশ্যই আগে ব্যাংকের অনুমতি, সীমা ও চার্জ জেনে নেওয়া জরুরি। এতে আপনি অর্থনৈতিক ঝুঁকি এড়াতে পারবেন।
ব্যাংকভেদে ভিসা কার্ড উত্তোলনসীমা
বাংলাদেশে কিছু প্রধান ব্যাংক অনুযায়ী ভিসা কার্ড উত্তোলন সীমা:
- ডাচ্-বাংলা ব্যাংক: দৈনিক ৫০,০০০–২,০০,০০০ টাকা
- ব্র্যাক ব্যাংক: ২০,০০০–১,৫০,০০০ টাকা
- স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড: আন্তর্জাতিক উত্তোলনের জন্যও রয়েছে বিশেষ সুবিধা
- সিটি ব্যাংক (আমেরিকান এক্সপ্রেস ও ভিসা উভয়ই): উত্তোলনসীমা নির্ভর করে কার্ড টাইপের উপর
একই ব্যাংকের বিভিন্ন কার্ডের মধ্যেও উত্তোলনসীমায় ভিন্নতা থাকতে পারে। এছাড়া আপনার ব্যাংকিং হিসাবের ধরন, লেনদেনের পরিমাণ ও ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নীতিমালাও সীমা নির্ধারণে প্রভাব ফেলে। সুতরাং, ভিসা কার্ড দিয়ে সর্বোচ্চ টাকা তোলার সীমার নির্দিষ্ট উত্তর পেতে আপনার ব্যাংকের কাস্টমার সার্ভিস বা অনলাইন সিস্টেম থেকে তথ্য নেয়া উচিত, যা আপনাকে সঠিক ও আপডেটেড তথ্য দিতে পারবে।
এটিএম থেকে টাকা উত্তোলনের চার্জ ও নিয়ম
ভিসা কার্ড দিয়ে সর্বোচ্চ কত টাকা তোলা যায় বিষয়টি জানার পাশাপাশি এটিএম থেকে টাকা উত্তোলনের চার্জ ও নিয়মগুলোও জানা জরুরি। কারণ এই চার্জগুলো আপনার লেনদেনের মোট খরচ প্রভাবিত করে।
নিজ ব্যাংকের এটিএম থেকে উত্তোলন: নিজের ব্যাংকের এটিএম থেকে টাকা তুললে সাধারণত অতিরিক্ত কোনো চার্জ হয় না বা খুব কম হয়। তাই এটিএম থেকে ভিসা কার্ডে সর্বোচ্চ টাকা তোলা সহজ ও কম খরচে হয়।
অন্য ব্যাংকের এটিএম থেকে উত্তোলন: অন্য ব্যাংকের এটিএম ব্যবহার করলে সাধারণত ১৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত চার্জ দিতে হয়। তাই নিয়মিত লেনদেনের জন্য নিজের ব্যাংকের এটিএম ব্যবহার করাই উত্তম।
আরো পড়ুন: ঘরে বসে আয় করুন ১৫০০০-২০০০০ টাকা প্রতি মাসে
আন্তর্জাতিক এটিএম থেকে উত্তোলন: বিদেশে ভিসা কার্ড দিয়ে টাকা তুললে সাধারণত ২%-৩% পর্যন্ত কারেন্সি রূপান্তর ফি ও অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ কাটা হয়। এছাড়া আন্তর্জাতিক লেনদেনের জন্য সীমাও ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত থাকে।
সীমাবদ্ধতা ও নিরাপত্তা: অধিকাংশ ব্যাংক দৈনিক উত্তোলনের জন্য একটি সীমা নির্ধারণ করে, যা কার্ডের ধরন ও ব্যাংকের নীতির ওপর নির্ভর করে। এছাড়া নিরাপত্তার জন্য পিন, ওটিপি ও অন্যান্য যাচাই পদ্ধতি থাকতে পারে।
সুতরাং, ভিসা কার্ড ব্যবহার করে এটিএম থেকে টাকা তোলার নিয়ম ও চার্জ সম্পর্কে আগে থেকেই জানা থাকলে আপনার লেনদেন হবে ঝামেলামুক্ত, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী হয়।
দৈনিক ও মাসিক কত টাকা তোলা যায়
ভিসা কার্ড দিয়ে দিনে কত টাকা তোলা যায় তা বেশিরভাগ ব্যাংকে দৈনিক সীমা নির্ধারিত থাকে। উদাহরণ দিয়ে বলি-
- ডেবিট কার্ড: দৈনিক ৫০,০০০–১,০০,০০০ টাকা
- ক্রেডিট কার্ড: নির্ভর করে ক্রেডিট লিমিটের ওপর
মাসিক সীমাও কিছু কিছু ব্যাংকে নির্ধারণ করা থাকে, যেমন: মাসে ১০ লাখ টাকা
পর্যন্ত উত্তোলন অনুমোদিত।
অনলাইন ট্রান্সফার নাকি ক্যাশ উইথড্র
বর্তমানে ভিসা কার্ডের মাধ্যমে শুধু এটিএম থেকে টাকা তোলা নয়, অনলাইন ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে টাকা ট্রান্সফার করাও খুব সহজ ও জনপ্রিয় হয়েছে। তবে এই দুটি পদ্ধতির মধ্যে কিছু গুরুত্বর্পূ পার্থক্য রয়েছে, যেগুলো জানা থাকলে আপনি নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
আরো পড়ুন:
গুগল পে একাউন্ট খোলার নিয়ম - ২০২৫
অনলাইন ট্রান্সফারের সুবিধা:
- বাড়তি চার্জ কম বা নেই: সাধারণত ব্যাংকের অ্যাপ বা ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহার করে টাকা পাঠালে অতিরিক্ত চার্জ হয় না বা খুব কম হয়।
- সীমা তুলনামূলক বেশি: অনেক ব্যাংক অনলাইনে দিনে ২-৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ট্রান্সফারের সুযোগ থাকে।
- ২৪/৭ লেনদেন: রাত-দিন যেকোনো সময় লেনদেন করা যায়।
ক্যাশ উইথড্র-এর সীমাবদ্ধতা:
- চার্জ বেশি হতে পারে: বিশেষ করে যদি অন্য ব্যাংকের এটিএম ব্যবহার করেন।
- সীমা নির্ধারিত থাকে: বেশিরভাগ ব্যাংক এটিএম থেকে দিনে ৫০,০০০ থেকে ২,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত উত্তোলনের সীমা নির্ধারণ করে।
- নগদ বহনের ঝুঁকি: বড় অঙ্কের টাকা হাতে বহন করলে নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকে।
অনেকেই জানতে চান, কোন ব্যাংকের ভিসা কার্ডে সবচেয়ে বেশি টাকা তোলা যায়? এর উত্তর পেতে হলে আপনাকে দেখতে হবে কোন ব্যাংক অনলাইন ট্রান্সফার ও ক্যাশ উইথড্র উভয় ক্ষেত্রেই উচ্চ সীমা এবং কম চার্জ দেয়। সুতরাং, আপনি যদি বেশি পরিমাণে টাকা লেনদেন করতে চান, তাহলে শুধুমাত্র ক্যাশ উত্তোলনের দিকে না তাকিয়ে অনলাইন ট্রান্সফার সুবিধাকেও বিবেচনায় নিন। এতে করে আপনি সময়, চার্জ এবং নিরাপত্তা সবদিক থেকেই লাভবান হবেন।
ভিসা কার্ড ব্যবহারে নিরাপত্তা পরামর্শ
কার্ড ব্যবহারে সতর্ক থাকুন:
- কখনোই কার্ডের পিন কারো সাথে শেয়ার করবেন না, এমনকি ব্যাংক কর্মচারীর সাথেও না।
- এটিএম বুথে প্রবেশের সময় আশেপাশে আপনার লেনদেন লক্ষ্য করছে কিনা খেয়াল রাখুন।
- আন্তর্জাতিক লেনদেন চালু থাকলে প্রয়োজনে তা অফ করে রাখুন। এতে হ্যাকারদের মাধ্যমে অনলাইনে অনধিকার চর্চা থেকে সুরক্ষা পাবেন।
- ফিশিং অ্যাপ বা ভুয়া ওয়েবসাইটে পিন/ওটিপি/কার্ড নাম্বার দেবেন না।
কারণ, যতই ভিসা কার্ড দিয়ে সর্বোচ্চ কত টাকা তোলা যায় জানুন না কেন, যদি নিরাপত্তা বজায় না থাকে, তাহলে অর্থ হারানোর ঝুঁকি থেকেই যাবে।
ভিসা কার্ডের উত্তোলনসীমা কীভাবে বাড়াবেন
বাংলাদেশে ভিসা কার্ড দিয়ে প্রতিদিন কত টাকা তোলা যাবে—তা মূলত নির্ভর করে আপনার কার্ডে নির্ধাতির ডিফল্ট উত্তোলন সীমার ওপর। তবে এই সীমা বৃদ্ধি করার কিছু নির্দিষ্ট উপায় ও প্রক্রিয়া রয়েছে। যেমন-
ব্যাংক অ্যাপ বা অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আবেদন: বেশিরভাগ ব্যাংক তাদের মোবাইল অ্যাপে বা ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ে “Card Limit Increase” বা “Card Activation” অপশন দিয়ে থাকে। সেখান থেকে আপনি একদিনের উত্তোলন সীমা বাড়ানোর জন্য আবেদন করতে পারেন।
ব্যাংকের শাখায় সরাসরি আবেদন: নিবন্ধিত ব্যাংক শাখায় গিয়ে শারীরিক ফর্ম পূরণ করে আবেদন করতে পারেন। আবেদন জমা দিতে হয় সচরাচর পরিচয়পত্র ও আয়-সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ।
নিরাপত্তা যাচাই ও আয়ের প্রমাণ: সীমা বাড়াতে হলে ব্যাংক সাধারণত আপনার সাম্প্রতিক ATM লেনদেন, আয় ও চাহিদা বিবেচনা করে থাকে। প্রয়োজন হলে খরচ ও চাকরির বিবরণাদি চাওয়া হতে পারে।
ভিসা কার্ড দিয়ে সর্বোচ্চ কত টাকা তোলা যায়, কীভাবে তা বাড়ানো যায়—সেটা নির্দিষ্ট নয়। আপনার প্রোফাইল ব্যবহারের ধরন এবং চাহিদার ভিত্তিতে এটি বাড়ানো সম্ভব।
আমার মন্তব্য
আমি ভিসা কার্ড দিয়ে সর্বোচ্চ কত টাকা তোলা যায় এর সীমা না জেনে বিদেশে গিয়ে সমস্যায় পড়েছিলাম। পরে বুঝেছি, সীমা আগে জানা, প্রয়োজনে তা বাড়ানো এবং অনলাইন-অফলাইন লেনদেনে ভারসাম্য রাখা বুদ্ধিমানের কাজ। সঠিক তথ্য জানলে ভিসা কার্ড দিয়ে সর্বোচ্চ কত টাকা তোলা যায় এই প্রশ্ন আর চিন্তার বিষয় থাকে না। শুধু জানতে হবে নিজের কার্ড, ব্যাংক এবং প্রয়োজন অনুযায়ী কোন পথে কতটুকু উত্তোলন নিরাপদ ও সাশ্রয়ী।



সংসার পেজের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url