ইসলামে রিজিক বাড়ানোর আমল ও বাস্তব টিপস

জুমার দিনের গুরুত্ব ও ফজিলতইসলামে রিজিক বাড়ানোর আমল ও বাস্তব টিপস জানা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ প্রতিটি মানুষই চায় হালাল ও বরকতময় রিজিক, যাতে পরিবারে শান্তি ও সচ্ছলতা আসে। রিজিক শুধু খাটুনির ফল নয়, বরং এটি আল্লাহ্‌র রহমত। 

ইসলামে-রিজিক-বাড়ানোর-আমল-ও-টিপস

ইসলামে রিজিক বাড়ানোর অনেক ইসলামিক আমল আছে, এমনকি বাস্তব ও কৌশলগত কিছু পরামর্শ, যা আমাদের জীবনকে সহজ ও নেক পথে পরিচালিত করতে বিশেষ কাজে আসে। রিজিক বৃদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ কিছু ইসলামিক আমল ও বাস্তব উপায় নিয়ে আজকের এই ব্লগ।

ইসলামে রিজিক বাড়ানোর আমল ও বাস্তব টিপস নিয়ে সাজানো সূচিপত্রঃ 

ইসলামে রিজিক বাড়ানোর আমল ও বাস্তব টিপস

ইসলামে রিজিক বাড়ানোর আমল ও বাস্তব টিপস নিয়ে অনেক আলোচনা করা আছে। মহান আল্লাহ্‌ তা'আলা আমাদের জীবনকে সহজ করতে সকল কিছুর ইসলামিক ব্যাখ্যা পবিত্র কুরআন শরীফে বর্ণনা করেছেন। মানুষ জীবনের তাগিদে প্রতিদিন রিজিকের পিছনে ছুটে চলে। কেউ খোঁজে চাকরি আবার কেউ ছুটে ব্যবসার পিছনে। কিন্তু আমরা যতই ছোটা ছুটি করি রিজিক আসলে আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে নির্ধারণ করে দেওয়া রহমত। রিজিক বৃদ্ধির ইসলামিক উপায় অবলম্বন করলে জীবিকা শুধু বাড়েই না তাতে অনেক বেশি বরকত থাকে। কুরআন ও হাদীসে এমন অনেক আমলের কথা বলা হয়েছে। 

আরো পড়ুন: দুঃসময় ও বিপদে পড়লে যেসব দোয়া বেশি ফলদায়ক হয় 

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া, ইস্তেগফার করা, সৎ বা হালাল পথে থাকা, সত্য কথা বলা, নিয়মিত দান-সদকা করা, আত্মীয়ের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখা ইত্যাদি কাজ গুলো মেনে চললে আমাদের রিজিকের ব্যবস্থা আল্লাহ্‌ করে দিবেন। এইসব উপায় শুধু যে ইসলাম ধর্মে বলছে এমনটা না এইটাকে শুধুমাত্র ধর্মীয় দায়িত্ব মনে না করে বাস্তব জীবনের অংশ হিসেবে মেন চললে জীবন অনেক বেশি সুন্দর ও ফলদায়ক হবে। 

ইসলামে রিজিকের সংজ্ঞা ও উৎস

রিজিক বলতে আমরা কেবল বুঝি খাবার বা টাকা-পয়সা কিন্তু ইসলামের দৃষ্টিতে রিজিক শুধু উপার্জনের পরিমাণ নয়, বরং এটি এমন এক আল্লাহ্‌র রহমত যার মধ্যে রয়েছে খাবার, পানি, বাসস্থান, স্বাস্থ্য, পারস্পারিক ভালোবাসা, সময়ের মর্যাদা ইত্যাদি দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় সকল জিনিসপত্র। আল্লাহ্‌ তা'আলা বলেছেন, "যমিনে এমন কোনো প্রাণী নেই যার রিজিক আল্লাহ্‌র দায়িত্ব নয়।" এই আয়াত থেকে বোঝা যায় যে, আল্লাহ্‌ তার সৃষ্টি প্রতিটি জীবের রিজিকের ব্যবস্থা নিজের হাতে করেছেন। তবে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলোঃ ইসলামিক দৃষ্টিতে রিজিক বাড়ানো মানে কেবল বেশি উপার্জন নয়, বরং

হালাল পথে ইনকামের চেষ্টা করা, আল্লাহ্‌র রহমতের আশায় ইবাদত বন্দেগী করা, বরকতের দোয়া করা, নিয়মিত দান ও সাদকা করা এবং আল্লাহ্‌র দরবারে বেশি বেশি ইস্তেগফার করা। আল্লাহ্‌র দরবারে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে বেশি বেশি ইবাদত করার মাধ্যমে জীবন যাপন করলে আল্লাহ্‌ খুশি হন এবং আমাদের রিজিক বাড়িয়ে দেন। আল্লাহ্‌র দেওয়া বরকতময় রিজিকে যে সুখ ও মানসিক শান্তি পাওয়া যায় তা আর কোথাও পাওয়া যায়না। 

রিজিক বাড়ানোর জন্য কুরআন ও হাদিসভিত্তিক আমল

জীবনে প্রতিটি পর্যায়ে মানুষ চাই স্বচ্ছলতা, নিরাপত্তা ও মানসিক শান্তি। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় আপনি পরিশ্রম করছেন ঠিকই কিন্তু আপনার সংসারে কোনো উন্নতি নেই, অভাব অনটন, অশান্তি লেগেই থাকছে। তখনই বুঝতে হবে আপনার উপর আল্লাহ্‌র রহমত নাই। আপনার রুজির উপর আল্লাহ্‌র বরকত নাই। কেননা আল্লাহ্‌র বরকতের বাইরে কারো পরিশ্রম ফলদায়ক হয়না। একজন মুমিনের অবশ্য করণীয় হলো, সে তার কর্ম, তার আমলগুলো প্রত্যেকদিন একবার হলেও খতিয়ে দেখা এবং ভুল ত্রুটি সংশোধন করে আল্লাহ্‌র কাছে ফিরে যাওয়া। 

ইসলামে-রিজিক-বাড়ানোর-আমল-ও-টিপস

ইসলামে রিজিক বাড়ানোর আমল ও বাস্তব কিছু টিপস শুধু আধ্যাত্মিক দিক দিয়েই নয় বরং বাস্তব জীবনে সফলতা অর্জনেরও পথ দেখায়। কুরআন ও হাদীসে এমন কিছু শক্তিশালী আমল রয়েছে যা আপনার রিজিক বৃদ্ধিতে বিশেষ সহায়ক ভূমিকা পালন করে। ইসলামে আত্মীয়র সম্পর্ক রক্ষা করাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন এই ব্যাপারে। এমনকি বেশি বেশি ইস্তেগফার করা, সময়মতো নামাজ পড়া, সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়ে রিজিকের সন্ধানে লেগে পড়া। এগুলো কেবল ধর্মীয় দায়িত্ব নয় বরং আমাদের মানসিক প্রশান্তিরও কারণ।

এছাড়া রিজিক বৃদ্ধির জন্য কুরআন ও হাদিসে বর্ণিত দোয়া ও যিকির রয়েছে যা নিয়মিত পাঠ করলে আল্লাহ্‌র খুশি হন এবং তার বান্দাকে সাহায্য করেন। "রাব্বি ইন্নি লিমা আনযালতা ইলাইয়া মিন খাইরিন ফাকির" কিংবা "আল্লাহুম্মাকফিনী বিহালালিকা আন হারামিকা" এসব দোয়া নবীগণ ও তাদের সাহাবিরা বিপদে পড়লে বা দুঃসময়ে অভাবে থাকলে রিজিকের আশায় পাঠ করতেন। এসব দোয়া পাঠের মাধ্যমে আমরা আল্লাহ্‌ বরকতের আশা করতে পারি। কেননা শুধু মাত্র খাটুনির ফলে আমরা রিজিক পাবোনা আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টিতে তার দেখানো পথে চলে আমরা যা রিজিক লাভ করবো তা গ্রহণের মাধ্যমে একটা শান্তিময় জীবন পাবো।  

রিজিক বৃদ্ধির জন্য রাসূলুল্লাহ (সা.) - এর সুন্নতি পরামর্শ

আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) শুধু একজন নবী ছিলেন না বরং এক পরিপূর্ণ আদর্শ মানুষ। যিনি জীবনের প্রতিটি পদে আমাদের পথ দেখিয়েছেন, রিজিক বৃদ্ধির সকল পথ আমাদের সামনে সহজ করে দিয়েছেন। তিনি আমাদের শিখিয়েছেন, কেবল দোয়া বা চেষ্টা করলেই রিজিক বাড়েনা বরং নৈতিকতার সাথে কাজ করে যেতে হবে তাহলে আল্লাহ্‌র বরকত আমাদের রিজিকের উপর থাকবে। হালাল পথে রিজিক বাড়াতে রাসূল (সা.) এর পরামর্শ গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো সকাল সকাল কাজ শুরু করা। হাদিসে আছে, "আমার উম্মতের জন্য সকালে বরকত রাখা হয়েছে।" অর্থাৎ, যারা ফজরের পর অলস না থেকে কর্মে মনযোগী হয় আল্লাহ তাদের জীবনে বরকত দেন। 

আরো পড়ুন: পবিত্র আশুরার রোজা এবং এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য 

তাছাড়া তিনি বারবার জোর দিয়েছেন হালাল উপার্জনের ওপর, কারণ হালাল খাবার-রিজিক না হলে দোয়া কবুল হয়না। তিনি আরও বলেছেন, একটি দিরহাম হারাম উপার্জন করা, পঁচিশটি হালাল দিরহাম নষ্ট করার সমান। নবীজির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ, জীবনে চলার পথে সবসময় সৎ ও ইমানদার হতে হবে, বিশ্বাস রক্ষা করতে না পারলে, আমানতের খেয়ানত করলে আপনি কখনই উন্নতি করতে পারবেন না। রিজিক বৃদ্ধির জন্য রাসূলুল্লাহ (সা.) এর এই সকল সুন্নতি পরামর্শগুলো মেনে চললে আপনি জীবনে অবশ্যই উন্নতি করতে পারবেন।

রিজিক বৃদ্ধির জন্য দোয়া ও যিকির

ইসলামে রিজিক বৃদ্ধির আমল ও বাস্তব টিপস শুধু কিছু নিয়ম বা তত্ত্ব নয় বরং এগুলো এমন পথনির্দেশনা , যা একজন মুমিনের জীবনে আল্লাহ্‌র রহমত ও বরকত বয়ে আনে। দুনিয়ার সকল কাজের পাশাপাশি একজন মানুষ যখন অন্তর দিয়ে আল্লাহ্‌র কাছে রিজিকের জন্য দোয়া করে তখন আল্লাহ্‌ খুশি হয়ে বরকত দান করে। এই বরকতের রহস্য লুকিয়ে থকে আমল ও দোয়ায়, তাই রিজিক বৃদ্ধির জন্য কুরআন হাদিসে বর্ণিত দোয়া ও যিকির গুলোর গুরুত্ব অপরিসীম। সূরা কাসাস ২৪ নাম্বার আয়াতে বর্ণিত আছে, "রাব্বি ইন্নি লিমা আনজালতা ইলাইয়া মিন খাইরিন ফাকির" এর অর্থ হে আমার পালনকর্তা! আপনি আমার প্রতি যেসব কল্যাণ নাজিল করেছেন, আমি তারই মুখাপেক্ষী। 

হযরত মূসা (আ.) যখন নিঃস্ব অবস্থায় মদিনায় আশ্রয় নেন তখন এই দোয়া বলেছিলেন। এটি রিজিক লাভের জন্য অত্যন্ত ফলদায়ক দোয়া। এছাড়াও তিরমিযি হাদিসে হালাল রিজিক চাওয়ার দোয়া বর্ণিত আছে "আল্লাহুম্মাকফিনী বিহালালিকা আন হারামিকা, ওয়া আগনিনী বিফাদলিকা আম্মান সিওয়াফ।" এর অর্থ হে আল্লাহ্‌! হালাল দ্বারা আমাকে হারাম থেকে রক্ষা করুন এবং আপনার অনুগ্রহে আমাকে অন্যদের মুখাপেক্ষী হওয়া থেকে মুক্ত করুন। একজন মানুষ এই দোয়া প্রত্যহ পাঠ করলে হালাল উপার্জনের জন্য আল্লাহ্‌ তাকে সাহায্য করবেন। 

ইসলামে-রিজিক-বাড়ানোর-আমল-ও-টিপস

সকাল-সন্ধ্যা নামাজের পর তসবি হিসেবে বা যিকির করার জন্য আপনি এই ছোট ছোট দোয়াগুলো পাঠ করতে পারবেন। "আল্লাহুম্মা বারিক লি ফি রিজকি" এর অর্থ হে আল্লাহ্‌! আপনি আমার রিজিকের বরকত দিন। "আল্লাহুম্মারজুকনি রিযকান ওয়াসিয়ান হালালান তাইয়্যিবান" এর অর্থ হে আল্লাহ্‌! আমাকে প্রশস্ত, হালাল ও পবিত্র রিজিক দিন। এই দোয়াগুলো প্রতিদিন সকালে নামাজ শেষ করে কর্মে লাগার পূর্বে  মনোযোগ সহকারে পাঠ করবেন। আল্লাহ্‌ আপনার ইবাদত ও আনুগত্যে খুশি হয়ে আপনাকে হালাল রুজির উপায় ও বরকত দিবেন। 

কেন রিজিক কমে যায়? নিজের ভুলগুলো একবার দেখে নেওয়া

অনেক সময় দেখা যায় জীবনে এমন কঠিন মুহূর্ত আসে যখন আমরা ইনকাম করি ঠিকই কিন্তু তা স্থায়ী হয়না। সংসারে কোনোভাবেই উন্নতি হয়না, এমনকি অভাব অনটন লেগেই থাকে। তখনই বুঝে নিতে হবে আমাদের কোথাও ভুল হচ্ছে। আল্লাহ্‌ বলেন, "তোমাদের যেসব বিপদ ঘটে, তা তোমাদের কৃতকর্মের ফল" তবে একটা জিনিস মনে রাখবেন রিজিক কমে যাওয়া সবসময়ই পরীক্ষা নয়, কখনো তা হতে পারে আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে একটা সতর্কতা। অনেক সময় আমরা অজান্তেই এমন কিছু কাজ করি যা রিজিকের রাস্তা বন্ধ করে দিতে পারে। তাই দরকার নিজের ভেতরটা একবার সৎভাবে দেখা। 

 আরো পড়ুন: ইসলামে স্ত্রী স্বামীকে তালাক দেওয়ার নিয়ম

আমার কোনো আচরণে আল্লাহ্‌ অসন্তুষ্ট হচ্ছেন কি না? আমার রুজি কি হালাল পথে আসছে? আমি কি সত্যি কথা বলছিনা? আমি কি অন্যের হক মেরে খাচ্ছি? যদি এমন কাজ করে থাকি তাহলে আমাদের ইবাদতে আল্লাহ্‌ খুশি হবেন না। ইবাদতের সাথে আমাদের ইমান ঠিক করতে হবে তাহলে আল্লাহ্‌ আমাদের উপর খুশি হবেন এবং হালাল রুজির ব্যবস্থা করে দিবেন। তাই আমরা অবশ্যই এই আত্মসমালোচনা মূলক কাজগুলো নিয়মিত করবো এবং কুরআন ও হাদিসের আলোকে ইসলামে রিজিক বাড়ানোর আমল ও বাস্তব টিপস অনুসরণ করে চলবো। 

রিজিক বৃদ্ধির জন্য নিজস্ব কিছু করণীয় কাজ

ইসলামে রিজিক বাড়ানোর আমল ও বাস্তব টিপস অনেক রয়েছে যা আমরা ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি। তবে শুধু দোয়া ও ভাগ্যের উপরে ভরসা করলে হবেনা, আমাদের নিজস্ব কিছু করণীয় আছে যা আমরা অবশ্যই মেনে চলার চেষ্টা করবো। আল্লাহ্‌র উপর ভরসা করার অর্থ এই না যে আমরা শুধু আসা করে বসে থাকবো আর সবকিছু আমাদের সামনে আপনা আপনি হাজির হয়ে যাবে। নিশ্চয়ই আমাদের কর্ম করতে হবে এবং ভালো ফলাফলের জন্য আল্লাহ্‌র উপর ভরসা করতে হবে। আমাদের নিত্যদিনের করণীয় আমাদের রিজিকের দরজা খুলে দিবে। তাই কিছু কাজ যা নিজেকে নিয়মিত করা দরকারঃ

  1. সময়ের মূল্য বোঝা ও সময় অপচয় না করা। অলসতা দূর করে ফজরের নামাজ আদায় করা এবং কর্মে মন দেওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা। 
  2. নিয়মিত আত্মসমালোচনা করা অর্থাৎ চলার পথে নিজের ভুল ভ্রান্তি, গাফলতি ও গুনাহগুলো হিসাব করা এবং সেগুলো থেকে নিজেকে ভালো পথে ফিরিয়ে আনা।
  3. চাকরি হোক বা ব্যবসা জীবনে এমনভাবে নিজেকে প্রস্তুত করেন যেনো কোথাও কোনো কাজে আটকাতে না হয়। দক্ষতা রিজিকের নতুন দরজা খুলে দেয়।
  4. আত্মবিশ্বাস ও ইতিবাচক মানসিকতা ধরে রাখা অর্থাৎ কখনই হতাশ হওয়া যাবেনা। নিজের উপর পূর্ণ বিশ্বাস রাখতে হবে। তবেই আপনি এগিয়ে যেতে পারবেন।
  5. সততা ও আমানতদারি হওয়া একজন সফল মানুষের চারিত্রিক গুণাবলী। এই ব্যাপারে আপনাদের আগেও বলেছি। সবসময় সৎ থাকতে হবে তবেই সফলতা ধরা দিবে।

রিজিক বাড়ানো একটা জীবন ধারার অংশ। আপনার কর্ম, আপনার সততা, আপনার নেক নিয়ত আপনাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে। জীবনে সফল হতে হলে এই বিষয়গুলো অবশ্যই মাথায় রাখবেন।

ইসলামে রিজিক বাড়ানোর আমল ও বাস্তব টিপস নিয়ে লেখকের শেষ মন্তব্য

ইসলামে রিজিক বাড়ানোর আমল ও বাস্তব টিপস শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় নির্দেশনা নয় বরং জীবনে প্রতিটি পর্যায়ে বরকত, সাফল্য ও শান্তির পথ খুলে দেয়। সুতরাং একটা কথায় বলবো এই কন্টেন্ট লিখতে গিয়ে আমার সকল রিসার্চ এমনকি আমার বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে আমি জোড় দিয়ে বলতে পারি, শুধু খাটুনি নয় আমাদের ইমান ঠিক না থাকলে কখনই আল্লাহ্‌র বরকত লাভের আশা করা যাবেনা। তাই এই লিখায় আমরা যে বিষয়গুলো জানলাম তা শুধুমাত্র একটা পড়ার বিষয় না করে প্রত্যেকটা নির্দেশনা আমাদের জীবনে প্রয়োগ করে বা আমল করলে আমরা নিশ্চয়ই ভালো ফলাফল পাবো। সঠিক পথে চললে একটু ধীরে হলেও আমাদের যে রিজিকের দরজা আল্লাহ্‌ খুলে দিবেন তা হবে শান্তির, বরকতের এবং দীর্ঘস্থায়ী।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সংসার পেজের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url