ওজন কমাতে জিরা পানির উপকারিতা

ওজন কমাতে জিরা পানির উপকারিতা অনেক। আমরা বিভিন্ন উপায়ে জিরা পানি খেয়ে উপকৃত হতে পারি। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে জিরা পানি খেলে শরীর যেমন হালাকা লাগে, তেমনি ওজন কমাতেও এটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

ওজন-কমাতে-জিরা-পানি-খাওয়ার-উপকারিতা

জিরা পানি কিভাবে খেলে ওজন কমে তা নিয়ে অনেকেই অনেক পরামর্শ বা লিখা লিখি করে থাকেন। আজকের এই কনটেন্টে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ওজন কমাতে জিরা পানি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে যেটা আমার নিজস্ব অভ্যাস ও অভিজ্ঞতা।  

ওজন কমাতে জিরা পানির উপকারিতা সম্পর্কে যা যা জানবোঃ

ওজন কমাতে জিরা পানির উপকারিতা

ওজন কমাতে জিরা পানির উপকারিতা অপরিসীম। জিরা পানি একটি জাদুকরী পানীয় বলা যেতে পারে কারণ এটি আমাদের লিভারের জন্য অনেক বেশি উপকারী। বর্তমানে অনলাইন জগতে আমরা নানা রকমের হেলদি ফুড ও পানীয় সম্পর্কে জানতে পারি। কিন্তু সবগুলো থেকে যে উপকৃত হই এমন না তবে এর মধ্যে জিরা পানি থেকে উপকৃত হওয়ার অনেক উদাহরণ রয়েছে, যেমনঃ আমি নিজেই পরীক্ষিত। আবার আমার মা ও এর থেকে অনেক উপকার পেয়েছে। তার লিভারের সমস্যা জনিত কারণে মূলত জিরা পানি খাওয়া শুরু করা আর এখন সেটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে কারণ সে অনেক বেশি উপকৃত। 

জিরা পানি মানুষের হজম শক্তি বাড়ায় এর ফলে পেটে অ্যাসিড জমতে দেয় না। বদহজম ও গ্যাস্ট্রিকের মতো সমস্যাগুলো দূরে থাকে এবং পেটে অতিরিক্ত মেদ না জমতে সাহায্য করে। আমরা জানি আমাদের শরীরের বেশিরভাগ অর্থাৎ ৬০% মেদ থাকে আমাদের পেটে। জিরা পানি নিয়মিত পান করার ফলে পেটে সেই মেদ জমা থেকে বিরত থাকে যার ফলে দ্রুত ওজন কমতেও সাহায্য করে। বিশ্বাস করেন! এই সহজ উপায়গুলো ফলো করে আপনি অনেক বেশি উপকার পাবেন যদি আপনি রেগুলার নিয়ম করে ফলো করেন। তাছাড়াও ওজন কমাতে জিরা খাওয়ার আরো কিছু পদ্ধতি আছে যেগুলো জানতে হলে আপনাকে ৭ নাম্বার পয়েন্টটি অবশ্যই মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

জিরা পানি কি? তৈরির নিয়ম

অনেকেই প্রশ্ন করেন, জিরা পানি খেলে কি হয়? আসলে ওজন কমানোর জন্য জিরা পানি একটি জনপ্রিয় প্রাকৃতিক পদ্ধতি। জিরা হলো স্বাদে, গন্ধে ও ঔষধি গুনে পরিপূর্ণ একটি ভেষজ উদ্ভিদ। প্রাচীন কাল থেকে আয়ুর্বেদরা জিরা দিয়ে বিভন্ন রোগের ঔষধ বানিয়ে থাকে। এর মধ্যে জিরা পানি ও একটি। জিরায় অনেক পুষ্টি উপাদান আছে, যেমনঃ ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার ইত্যাদি। যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। 

জিরা পানি তৈরি করা খুবই সহজ একটি কাজ। আপনি ১ টেবিল চামচ জিরা ১ গ্লাস পানির সাথে মিশিয়ে সারারাত রেখে দিন এবং পরের দিন সকালে সেটি ছেঁকে পানিটা খালি পেটে পান করুন। অথবা আপনি চাইলে সকালবেলা উঠে প্রথমেই সমপরিমাণ জিরা ও এক গ্লাসের থেকে একটু বেশি পানি নিয়ে চুলায় ভালো করে জাল করে নিতে পারেন। পানিটা ৫ মিনিট ফুটিয়ে তারপর ঠান্ডা করে পান করতে হবে। 

জিরা পানি খাওয়ার উপকারিতা কি কি এবং কখন ও কিভাবে খাবেন

শুধু ওজন কমানো নয় জিরা পানি খাওয়ার অনেক উপকারিতা আছে। জিরাতে অনেক ধরনের গুণাগুণ আছে যার মধ্যে আয়রন একটা। আয়রনের উপস্থিতি থাকায় রোগপ্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। রক্ত শূন্যতার চিকিৎসায় কাজে আসে জিরা পানি কেননা আমরা জানি আয়রন শরীরে রক্ত স্বল্পতা কমায়। অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করে। খাবার দ্রুত হজম করতে সাহায্য করায় বদহজম হয়না। জিরা পানি শরীরে আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে যার ফলে গরমের সময় আমাদের শরীরকে ডিহাইড্রেট হওয়া থেকে রক্ষা করে। 

যারা দীর্ঘদিন ধরে অনিদ্রায় ভুগছেন তারা এর থেকে বিশেষ উপকৃত হবেন। কারণ নিয়মিত জিরা পানি খেলে ঘুম ভালো হয়। অন্যদিকে জিরা পানি স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে, আপনার মস্তিষ্ককে বিশেষভাবে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। জিরা পানি যকৃত ও পাকস্থলীর জন্য খুবই উপকারী, জিরা পানি শরীর থেকে সকল দূষিত পদার্থ বের করে ফেলতে সাহায্য করে। এমন আরো অনেক উপকারিতা আছে জিরা পানি খাওয়ার। 

জিরা পানি কখন ও কিভাবে খাবেন এই ব্যাপারে আমরা অলরেডি আলোচনা করে ফেলেছি। তবুও যাদের বুঝতে অসুবিধা তাদের জন্য আবারো ছোট করে আলোচনা করা হলো। জিরা পানি আপনি রাতে ভিজিয়ে সকালে খালি পেটেও খেতে পারেন আবার দিনের অন্য সময় যেমন দুপুরে খাওয়ার পরে খেতে পারেন সে ক্ষেত্রে সকালে ভিজিয়ে রেখে দিবেন। আবার যখন ভারী কোন খবার বা তেল জাতীয় খাবার খেলে পেট ভার মনে হলে ১ কাপ জিরা পানি খেয়ে ফেলতে পারেন অবশ্যই ১ চামচের বেশি জিরা খাওয়া যাবেনা। 

জিরা পানি খেলে কি দ্রুত ওজন কমবে

কোন কিছুতেই এত দ্রুত ফলাফল পাবেন না যেমনটা আপনি কল্পনা করছেন। জিরা পানি খেয়ে আপনি উপকৃত হবেন ঠিকই কিন্তু সেটা সময়সাপেক্ষ প্রসেস। আপনি ১ সপ্তাহ খেয়ে বাদ দিয়ে দিলে হবেনা। ভালো রেজাল্টের জন্য দীর্ঘ সময় খেতে হবে এবং ১ মাসে এর ফলাফল কিছুটা হলেও বুঝতে পারবেন।  সেজন্য শুধু জিরা পানি খেলে হবেনা আপনাকে এর সাথে আরো কিছু ভালো অভ্যাস গোড়ে তুলতে হবে। 

ওজন-কমাতে-জিরা-পানি-খাওয়ার-উপকারিতা 
সারাদিন বেশি বেশি পানি পান করতে হবে কমকরে হলেও ৩-৪ লিটার। প্রত্যেকদিন সকালে অথবা বিকালে ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা হাঁটার অভ্যাস করতে হবে এবং ব্যায়াম করতে হবে। স্বাস্থ্যকর খাবারের ভূমিকা ওজন কমানোর জন্য সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। আপনার খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন আনতে হবে। তেল বা চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া যাবেনা, বেশি করে শাকসবজি খেতে হবে এবং কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমিয়ে ফেলতে হবে। আর সব থেকে কার্যকরী হবে পর্যাপ্ত ঘুম। একজন মানুষের শরীরের সব কিছু স্বাভাবিক রাখতে ঘুমের প্রয়োজনীয়তা সব থেকে বেশি।

জিরা জল কি পেট ফাঁপা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে

জিরা বীজঃ ওজন কমানোর একটি প্রাকৃতিক উপায়। জিরা পানি যেমন ওজন কমাতে আমাদের সাহায্য করে তেমনি লিভারের বিভিন্ন সমস্যা  থেকে মুক্তি পেতে জিরার ভূমিকা অনেক। আগেকার দিনে আয়ুর্বেদিক ডাক্তাররা চোখ বন্ধ করে জিরার ব্যবহার করতেন বিভিন্ন ঔষধ বানাতে, এর মধ্যে অন্যতম হলো জিরা পানি। যার ব্যবহার এখনো রয়েছে। এখনকার দিনের অনেক ডাক্তারও ঠিক একই পরামর্শ দিয়ে থাকেন।  

আরও পড়ুনঃ  কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

জিরা পানি মানুষের লিভারের প্রাকৃতিক ডিটক্সিফিকেশন পথকে সহজ করে। জিরাতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা লিভারের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং হজম প্রক্রিয়া সবসময় সচল রাখে। যার ফলে আমাদের বদহজম হয় না। ভারী কোনো খাবার খাওয়ার পরে জিরা পানি খেয়ে নিলে খাবার দ্রুত হজম করতে সাহায্য করে। আবার পেট ফাঁপা মনে হলে সাথে সাথে জিরা পানি খেলে খুব দ্রুতই আমরা ফলাফল পেতে পারি। তাই বলা যায় পেট ফাঁপা থেকে মুক্তি দিতে জিরা পানির উপকারিতা অনেক।

গর্ভাবস্থায় জিরা পানি কি নিরাপদ

জিরা একটি মসলা জাতীয় ভেষজ পদার্থ। জিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা অনেক। প্রাকৃতিক পদার্থ হওয়ায় এটি অনেক বেশি নিরাপদ তবে মাত্রাতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না। গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন ভাবে জিরা খেতে পারেন তবে খালি পেটে জিরা পানি খাওয়ার উপকারিতা অনেক। সব থেকে ভালো হয় আগের দিন রাতে জিরা ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে খালি পেটে পানিটা ছেঁকে খেয়ে নেওয়া। প্রত্যেকদিন নিয়ম করে খেলে উপকৃত হবেন।গর্ভাবস্থায় পেটে গ্যাস্ট্রিকের অনেক বেশি সমস্যা দেখা যায়। প্রায় প্রত্যেকদিন মেয়েরা এই সমস্যার মধ্য দিয়ে যায়।

জিরা পানি রেগুলার খেলে যেকোনো খাবার দ্রুত হজম হয়ে যাবে। এতেকরে আলাদা করে গ্যাস্ট্রিকের মেডিসিন নাও খাওয়া লাগতে পারে। তবে অবশ্যই কেয়ারফুল থাকতে হবে। সামান্য সমস্যা মনে হলে ডাক্তার এর পরামর্শ নিতে হবে। গর্ভাবস্থায় বমি বমি ভাব হওয়া খুব স্বাভাবিক একটা বিষয়। জিরা পানি খেলে এ থেকে আরাম পাওয়া যায়, মুখে রুচি আসে। এতে আয়রনের উপস্থিতি থাকায় রক্ত স্বল্পতা কিছুটা হলেও কমায়। তবে এর জন্য চিকিৎসকের দেওয়া অন্যান্য বিষয়গুলো অবশ্যই ফলো করতে হবে। অন্যদিকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর উপস্থিতির জন্য শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শক্তির সঞ্চার করে।

জিরা পানি কিভাবে খেলে ওজন কমে-২০ টি উপকারিতা

আপনারা অনেকেই ভাবছেন জিরা পানি কখন খাবেন! মেদ কমাতে জিরা পানির খাওয়ার নিয়ম কি? তাহলে আপনারা একদম ঠিক জায়গায় এসে পড়েছেন। আমরা আমাদের এই কনটেন্টে খুবই সুন্দর ও সহজভাবে জিরা পানি খাওয়ার সকল উপকারিতে অপকারিতে ও ওজন কমাতে জিরা পানির ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। চলুন দেখে নেওয়া যাক জিরা পানি কিভাবে খেলে ওজন কমে এর বেশকিছু উপকারিতাঃ

আরও পড়ুনঃ শ্যাম্পুর সাথে চিনি ও লেবুর ব্যবহার 

ডায়েটে জিরা খাওয়ার ও বানানোর বেশকিছু পদ্ধতি আছে। ১ চা চামচ জিরা পানি রাতে পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে পান করতে পারেন বা জিরা পানিতে ফুটিয়ে ১ টেবিল চামুচ লেবুর রসের সাথে মিশিয়ে হালকা কুসুম গরম জিরা চা খেতে পারেন। এছাড়াও দুপুরে খাবার পরে ১ কাপ টক দই এর সাথে ১ চা চামচ জিরার গুড়া মিশিয়ে খেতে পারেন এতে করে অনেক ভালো একটা উপকার পাওয়া যায়। সকাল বেলা খালিপেটে দারচিনি ফোটানো কুসুম গরম পানির সাথে ১ চা চামচ জিরা গুড়া এবং ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। 

তাছাড়া ডায়েটে আমরা তেল মসলা কম খাবার বানিয়ে থাকি এক্ষেত্রে ব্রাউন রাইস দিয়ে জিরা রাইস বানিয়ে খেতে পারেন, সবজি সালাদ, চিকেন সালাদ বা বিভিন্ন স্যুপেও জিরার ফ্লেভার বেশ ভালো লাগে। এভাবে ডায়েটে জিরার ব্যবহারে আমরা অনেক অনেক উপকৃত হতে পারি। হজম প্রক্রিয়া সহজ করে আমাদের পেটে অতিরিক্ত মেদ জমতে দেয়না এমনকি পুরাতন মেদ ঝরাতেও সাহায্য করে।

ওজন-কমাতে-জিরা-পানি-খাওয়ার-উপকারিতা

আমরা ইতিমধ্যে জিরা পানি খাওয়ার অনেক উপকারিতা সম্পর্কে জেনে এসেছি। এখানে আরও কিছু বিষয় সম্পর্কে জানবো। যেমন ত্বক ও চুলের যত্নে জিরা পানি বেশ উপকারী। জিরাতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান থাকায় এটি আমাদের শরীরকে ডিটক্স রাখে ফলে ত্বক স্বাস্থ্যজ্জল থাকে, চুল পরা কমে যায়। জিরা পানি হৃদরোগের জন্যও উপকারী। জিরা পানি বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে। জিরা শরীরের ইনসুলিন উৎপাদনকে উদ্দীপ্ত করে, ফলে শরীরে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখে যা ডায়াবেটিক রোগীর জন্য খুবই উপকারী। 

জিরা পানি খাওয়ার অপকারিতা

কথায় আছে কোনো কিছুই অতিরিক্ত ভালো না। অতিরিক্ত বা অনিয়ন্ত্রিতভাবে কোন কিছু খেলে এর ফলাফল খুব একটা ভালো হয় না। অনেক ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে যা আমাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতেও ফেলতে পারে। বিশেষ করে যারা গর্ভাবস্থায় আছেন বা লিভারের সমস্যা জনিত কারণে ভুগছেন অথবা যাদের রক্ত পাতলা, এমনকি যারা নিম্ন রক্ত চাপের মানুষ বা লো-প্রেসারের মানুষ। তাহলে চলুন দেখে নেই অতিরিক্তহারে জিরা পানি খাওয়ার সকল অপকারিতা সম্পর্কেঃ

  1. যারা অলরেডি লো- ব্লাড- প্রেসারের মানুষ তারা জিরা পানি খাওয়ার ব্যাপারে অতিরিক্ত সচেতন হবেন, প্রয়োজনে আপনার ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নিন। কারণ জিরা পানি রেগুলার খাওয়ার ফলে রক্তচাপ কমে যায়। এতে করে শরীর দুর্বল হওয়াসহ আরো অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  2. অতিরিক্তহারে জিরা পানি খেলে বা দীর্ঘদিন খাওয়ার ফলে লিভারের অন্য অনেকরকম সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে জিরা তেল বা নির্যাস আকারে খেলে এর জন্য বিকল্প হলো জিরা ভেজানো পানি দৈনিক ১ কাপের বেশি না খাওয়া তারপরও সমস্যা মনে বাদ দিতে হবে।
  3. জিরা পানি রক্ত পাতলা করে। যারা লো কলেস্ট্রল জাতীয় রোগে ভুগছেন তারা এটা খাবেন না। এতে করে সমস্যা আরো বাড়বে, প্রয়োজনে ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করে নিবেন।
  4. জিরা পানি পেটে খাওয়ার ফলে অনেক সময় উলটা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা যায়, তবে এটা সবার ক্ষেত্রে হয় না। যাদের হয় তারা সময় টা পরিবর্তন করে দেখতে পারেন। সকালে খালি পেটে না খেয়ে দিনের অন্য কোন সময় যেমন দুপুর ১২-২ টার মধ্যে কিছু খাওয়ার পর খেয়ে দেখতে পারেন।
  5. জিরা পানি অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে গর্ভাবস্থায় জরায়ু সংকচোন এর মতো সমস্যা দেখা যায়। এর ফলে অনেক সময় গর্ভপাত বা সময়ের আগে বাচ্চা হওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। তাই ডাক্তার এর পরামর্শ নিবেন। মনে দ্বিধা আসলে না খাওয়ায় ভালো। 

লেখকের মন্তব্য

পরিশেষে একটা কথায় বলতে চাই আমার বাড়িতে বাবা মা ও আমি সহ আমার অনেক পরিচিত ডায়াবেটিক রোগীও জিরা পানি পান করে উপকৃত হয়েছেন। আমি এর থেকে কোন ক্ষতির সম্মুখীন এখন পর্যন্ত হয়নি। তাই ভাবলাম আমি আমার এই কনটেন্টে যতোটা সহজ করে সম্ভব জিরা পানি বানানোর নিয়ম, খাওয়ার সময়, উপকারিতা অপকারিতা সহ ওজন কমাতে জিরা পানির যত ভূমিকা সবকিছুই নিজের মতো করে আলোচনা করেছি যা আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে লিখা। আপনারা যারা জিরা পানি তে কমফোর্টেবল তারা খুব সহজেই এটি মেনে উপকৃত হতে পারেন আর যারা সমস্যা মনে করছেন বা সমস্যায় পড়েছেন তারা বাদ দিবেন এবং ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলবেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সংসার পেজের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url