অ্যালাট্রল ঔষধের কাজ, ব্যবহারবিধি ও সতর্কতা

অ্যালাট্রল ঔষধের কাজ, ব্যবহারবিধি ও সতর্কতা নিয়ে প্রায় সবার মনেই কতগুলো প্রশ্ন ঘুরপাক খায়। আমরা যখনই কোন অজানা ঔষধ খেতে যায় তখনই সাথে সাথে গুগল করে দেখি সেটার ব্যাপারে কারণ সে বিষয়ে ডিটেইলস জানার আগ্রহ হয়। 

অ্যালাট্রল-ঔষধের-কাজ-কি

আমি তো অবশ্যই করি আপনারা করেন কি না জানিনা। অ্যালাট্রল প্রধানত ডিপ্রেশন, অ্যানজাইটিক, অ্যালার্জি এবং স্নায়ুজনিত ব্যথার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। চলুন তাহলে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানি। 

অ্যালাট্রল ঔষধের কাজ, ব্যবহারবিধি ও সতর্কতা নিয়ে সব জানা অজানা তথ্য

অ্যালাট্রল কি এবং এটি কিসের জন্য ব্যবহৃত হয়

অ্যালাট্রল একটি অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ঔষধ অর্থাৎ এটি হিস্টামিন নামক একটি রাসায়নিক পদার্থের কার্যকারিতা প্রতিরোধ করে। এর বৈজ্ঞানিক নাম সিটরিজিন ডাই-হাইড্রোক্লোরাইড। এছাড়াও এটিকে বলা হয় ট্রাইসাইক্লিক অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট যা ডিপ্রেশন বা স্নায়ুর চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এটি অ্যামিট্রিপ্টাইলিন ও নরট্রিপ্টাইলিন নামক সক্রিয় উপাদান থেকে তৈরি।

আরো পড়ুন: এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায় 

হিস্টামিন যখন আমাদের শরীরে বেড়ে যায় তখন হাঁচি, সর্দি, চোখ-নাক চুলকানো ও ফুসকুড়ির মতো সমস্যা দেখা দেয় যা অ্যালাট্রল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এমনকি এই ঔষধটি মস্তিস্কে সেরোটোনিন এবং নরএপিনেফ্রিনের মাত্রা বাড়িয়ে মানুষিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।

অ্যালাট্রল আমাদের শরীরে কিভাবে কাজ করে

অ্যালাট্রল আমাদের শরীরে অনেকভাবে কাজে আসে। ছোট ছোট অনেক অসুখের চিকিৎসায় আমরা অ্যালাট্রলের সেবন করে থাকি। ডিপ্রেশন, অ্যানজাইটি ও স্নায়ুজনিত কারণে অ্যালাট্রলের ব্যাবহার দেখা যায়। অ্যানজাইটির কারণে হওয়া মানুষিক অস্বস্তি ও অস্থিরতা কমাতে এটি ব্যবহার করা হয়। স্নায়ু প্রদাহ বা ব্যথার জন্য এটি ব্যবহার করা হয় আবার মাইগ্রেনের তীব্র ব্যথা কমাতেও এর ব্যবহার দেখা যায়। যেহেতু এটা স্নায়ুকে শান্ত রাখে তাই যাদের ঘুম হয় না এটি খাওয়ার পর ঘুম ভালো হবে। 

বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জিক সংক্রমণ রোধেও এটি ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে যখন চোখ দিয়ে পানি পড়া, চোখ লাল হওয়া, চুলকানি, শরীরে চুলকানি, ধুলাবালি থেকে হওয়া অ্যালার্জি যেমন হাঁচি কাশি ইত্যাদি। এই হিস্টামিন শরীরের এইচ ওয়ান (h1) নামক কিছু রিসেপ্টর আছে যেগুলোর সাথে যুক্ত হয়ে এই ধরনের উপসর্গগুলো তৈরি করে। অ্যালাট্রল h1 রিসেপ্টরকে ব্লক করে বা আটকায় যার ফলে এটি আর কাজ করতে পারেনা এবং উপসর্গগুলো কমে যায়। এভাবেই অ্যালাট্রল আমাদের শরীরে কাজ করে।  

অ্যালাট্রলের ডোজ ও ব্যবহারবিধি 

প্রত্যেকটা ঔষধ রোগীর বয়স, শারীরিক অবস্থা ও রোগের লক্ষণের উপর ভিত্তি করে তার ডোজ নির্ধারণ করে। আমরা কখনই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ সেবন করবোনা। অ্যালাট্রল যদি তার পরিমিত মাত্রায় ব্যবহার করা হয় তাহলে বেশ ভালো একটা উপকার পাওয়া যায়। আবার প্রয়োজনের অধিক বা অপ্রয়োজনে খেলে এর বিপরীত হতে পারে। চলুন দেখে নেই অ্যালাট্রলের ডোজ ও ব্যবহারবিধি নিয়ে-

আরো পড়ুন: ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগীর খাবার তালিকা

সাধারণ ডোজঃ

  • প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্যঃ ডিপ্রেশন ও অ্যানজাইটির জন্য শুরুতে ১০-২৫ এম জি (দিনে ২ বার)। স্নায়ুর ব্যথার জন্য রাতে ২৫ এম জি নেওয়া যেতে পারে। এতে কাজ না হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
  • শিশুদের জন্যঃ ২-৬ বছরের শিশু দিনে ২-৩ বার ১ এম জি। ৬-১২ বছরের শিশু দিনে ২-৩ বার ২ এম জি। 

ব্যবহারবিধিঃ এই ঔষধ সাধারণত সকালে খাবারের পর খেতে হয় এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে। এটি ট্যাবলেট, ক্যাপস্যুল ও তরল তিন ফর্মেই পাওয়া যায়। ভালো হয় আপনি যদি বাচ্চাদের জন্য তরল ফর্ম টা ব্যবহার করেন এবং প্যাকেটে থাকা পরিমাপক দিয়ে পরিমাপ করে খাওয়ান। যারা ট্যাবলেট খাবেন তারা পানি বা দুধের সাথে গিলে খেয়ে নিন চিবাতে যাবেন না। এটি সাধারণত খাওয়ার ৩০ মিনিটের মধ্যে কাজ শুরু করে এবং এর প্রভাব ৪-৫ ঘণ্টা স্থায়ী থাকে।

অ্যালাট্রলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া 

অন্যান্য সকল ঔষধের মতো অ্যালাট্রল বা সিটিরিজিন জাতীয় ঔষধ ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরি করে পারে তবে এটি সাধারণত খুব একটা চোখে পড়ার মতো হয়না। তবে ডোজ বেশি হলে অনেক বেশি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে সেক্ষেত্রে দ্রুতই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। সাধারণত মাথা ব্যথা, মুখ শুকিয়ে যাওয়া, ঝিমুনি বা ঘুম ঘুম ভাব, মাথা ঘোরা, নাক দিয়ে পানি পড়া, কোষ্ঠকাঠিন্য বা পাতলা পায়খানা, শিশুদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত উত্তেজিত ভাব, দীর্ঘমেয়দি ব্যবহারের ফলে ওজন বৃদ্ধি হওয়া। ইত্যাদি কিছু সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনেক সময় দেখা যায়।

আরো পড়ুন: অতিরিক্ত মাসিক বন্ধ করার ঘরোয়া উপায়

তবে খুবই বিরল কিন্তু কিছু গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সিটিরিজিন থেকে হয়ে থাকে। যেমন আপনার কোথাও যদি কেটে যায় সেখানে স্বাভাবিকের থেকে বেশি রক্তপাত হচ্ছে বলে মনে হয় তাহলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যান। হঠাৎ করে শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা হওয়া, অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন, অতিরিক্ত অস্থিরতা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, বা শিশুর খেলাধুলা বন্ধ করে একদম ঝিমিয়ে যাওয়া, শরীরে অতিরিক্ত চুলকানি বা ফুসকুড়ি জাতীয় পদার্থের দেখা যাওয়া। এইসকল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খুব একটা হয়না তবে আপনাকে অবশ্যই যেকোনো ঔষধ খাওয়ার ব্যপারে সতর্ক থাকতে হবে।

উপকারিতা ও সীমাবদ্ধতা

অ্যালাট্রল খাওয়ার অনেক উপকারিতা তো আছেই সেই সাথে বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা বা সতর্কতা আছে যা আমাদের মেনে চলতে হবে। আমরা জ্বর, হাঁচি, কাশি, সর্দি, চুলকানি, মাথা ব্যথা, দুশ্চিন্তা, ঘুম না হওয়ার চিকিৎসায় যেমন অ্যালাট্রল ব্যবহার করে উপকারিতা পাচ্ছি খুব দ্রুত তেমনি এটি ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা বা সতর্কতাও আছে অনেক। 

অ্যালাট্রল-ঔষধের-কাজ-কি

আরেকটু ভালো করে বললে দীর্ঘমেয়াদে অ্যালাট্রল ব্যবহার করা যাবেনা। আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, এতে করে আপনার ওজন অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে। তাছাড়া এটি খাওয়ার পর যেহেতু ঘুম আসে বা ঝিমুনি লাগে তাই কোন ধরনের মেশিন চালানো বা গাড়ি চালানো যাবেনা। আবার এটি খাওয়ার সময় আগে বা পরে অ্যালকোহল খাওয়া উচিত নয় এতে প্রতিক্রিয়া তীব্র হয়ে যায়, যাদের লিভার বা কিডনির সমস্যা আছে বা যারা অধিক বয়স্ক তারা এটি একদম বেশি ডোজে নিবেন না নিলেও ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া নেওয়া যাবেনা। 

সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো গর্ভবতী মায়েরা বা স্তনদানকালে এটি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাবেন না। এছাড়াও অন্যান্য ঔষধের সাথে এর ইন্টার‌্যাকশন হতে পারে যার জন্য আমি আর কি কি ঔষধ খাচ্ছেন টা মাথায় রেখে ডাক্তারের কাছে জেনে তবেই এটি খাবেন। 

মিথস্ক্রিয়া

অ্যালাট্রল নিরাপদ অ্যান্টিহিস্টামিন হওয়ায় এর তেমন কোন মিথস্ক্রিয়া জনিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়না। তবুও কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর বেশকিছু ঔষধের সাথে মিথস্ক্রিয়া হয়ে যায়। ইন্টারনেট ঘেঁটে ও বেশকিছু ডাক্তারের কাছে থেকে নেওয়া পরামর্শ অনুযায়ী আমি যা যা জানতে পেরেছি সেই ব্যপারে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ

  • অ্যালকোহলঃ অ্যালাট্রল যেহেতু ঘুম বা মাথা ঝিম ঝিম এর কারণ হতে পারে সেক্ষেত্রে কিছুতেই অ্যালকোহল গ্রহণ করা যাবেনা। কারণ এটিও আমাদের একই প্রতিক্রিয়া দেই সেক্ষেত্রে এরা দুইজন মিলিত হয়ে একটা খারাপ প্রতিক্রিয়া হবে শরীরে।
  • স্নায়ুবিক ঔষধঃ মাথা ব্যথা বা অস্থিরতার জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের স্নায়ুবিক ঔষধ খেয়ে থাকি, যেমনঃ haloperidol, phenytoin ইত্যাদি। 
  • সেডেটিভস বা ঘুমের ঔষধঃ Lorazepam, zolpedem, diazepam ইত্যাদি ঔষধ খেলে আর অ্যালাট্রল খাবেন না তাহলে অতিরিক্ত ঘুম ও শ্বাসপ্রশ্বাস ধীর হয়ে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা যাবে।
  • অ্যানাস্থেটিক ঔষধঃ সার্জারির সময় ব্যবহৃত অ্যানেস্থেসিয়ার সাথে এর একটা খারাপ মিথস্ক্রিয়া হয়।
  • অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টঃ Amitriptylin, Phenelzine জাতীয় ঔষধ সেবন করলে অ্যালাট্রল ঔষধ খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।

আমি কি অন্যান্য ঔষধের সাথে অ্যালাট্রল নিতে পারবো

জি আপনি সাধারণ কিছু ঔষধ আছে যার সাথে অ্যালাট্রল খেতে পারবেন। তবে কিছু ঔষধ আছে যেগুলোর সাথে মিথস্ক্রিয়া হয় আমরা অলরেডি আলোচনা করেছি, সেগুলো খেলে অ্যালাট্রল খাওয়ার ব্যাপারে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। সাধারণ কিছু ঔষধ যেমনঃ জ্বরের ঔষধ প্যারাসিটামল, সরদি-কাশির ঔষধ, গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ, অ্যান্টিবায়োটিক (অ্যাজিথ্রমাইসিন)। এইসকল ঔষধ খাওয়ার সাথে অ্যালাট্রল খেলে কোন অসুবিধা হয়না। 

অ্যালাট্রল-ঔষধের-কাজ-কি

অন্যদিকে ঘুমের ঔষধ, অ্যালকোহল, মাথা ব্যথার ঔষধ, মানসিক রোগের ঔষধ, মাদকজাত দ্রব্য, অ্যান্টিকোলিরজানিক ইত্যাদি জাতীয় ঔষধ খাওয়ার সময় বেশ সতর্ক থাকতে হবে। নাহয় অতিরিক্ত ঘুম, ঝিমুনি, উল্টা পালটা কথা বলা, শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা হওয়া, চোখে ঝাপসা দেখা, প্রস্রাব আটকে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সবসময় যেকোনো ঔষধ গ্রহণের জন্য আপনার ডাক্তার বা ভালো একজন ফারমাসিস্টের পরামর্শ নিয়ে নেন।

বাংলাদেশে অ্যালাট্রলের বিকল্প আরো কিছু ব্র্যান্ড

অ্যালাট্রল একটা সিটিরিজিন গ্রুপের ঔষধ। বাংলাদেশে অ্যালাট্রল স্কয়ার ফার্মাসিউটিকলস কোম্পানি বানিয়ে থাকে। অ্যালাট্রলের বিকল্প আরো কিছু ঔষধ আমাদের দেশে আছে। নিম্নে এর একটি ধারণা তৈরি করে দেওয়া হলোঃ

  • Histacin-ACI Limited
  • Allersin-Incepta Pharmaceuticals
  • Histafen-Beximco Pharmaceuticals
  • Cipladine-Opsonin Pharma Ltd. 

সংরক্ষণ পদ্ধতি

শুধু অ্যালাট্রল না যেকোনো ঔষধ সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা জরুরি। তাহলে ঔষধের গুণগত মান ঠিক থাকে। চলুন দেখে নেই সঠিক সংরক্ষণ পদ্ধতিঃ 

  1. এটি ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ঘরোয়া তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করুন।
  2. অতিরিক্ত গরম বা ঠান্ডা পরিবেশ থেকে দূরে রাখুন। 
  3. স্যাঁতসেঁতে বা আর্দ্রতা পূর্ণ স্থানে রাখবেন না। সরাসরি সূর্যের আলো পড়ে এমন জায়গায় রাখবেন না এতে ঔষধের গুণাগুণ নষ্ট হয়।  
  4. যেকোনো ঔষধ শিশুর নাগালের বাইরে রাখুন 
  5. ব্যবহারের পূর্বে মেয়াদ শেষের তারিখ দেখে নিন এবং সিরাপের ক্ষেত্রে মুখ খোলার পর ১ মাসের বেশি ব্যবহার করবেন না।  

মন্তব্য

আমি ঠান্ডা ও অ্যালার্জি জাতীয় সমস্যা বা কোল্ড অ্যালার্জির একজন পেশেন্ট। প্রায় প্রত্যেক শীতে আমাকে এর জন্য বেশ ভালোরকম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। আমি সেই জন্য অ্যালাট্রল খেয়ে থাকি। আমার উপকার হয় তেমন কোন সমস্যায় আজ পর্যন্ত পড়িনি শুধু ঘুম বা মাথা ঝিম ঝিম করার ব্যাপারটা ব্যাপক সমস্যায় ফেলে। আপনারা যারা অ্যালাট্রল খেয়েছেন তারা বুঝতে পারবেন আর যারা খাননি তারা যে সমস্যার জন্য খেতে চাচ্ছেন আগে সেটা নিশ্চিত করুন এবং আপনার ডাক্তার বা অতি অভিজ্ঞ একজন ফার্মাসিস্টের পরামর্শ নিয়ে খান। আমি আমার অভিজ্ঞতা ও অনলাইন এবং কিছু অফলাইন রিসার্চ থেকে আজকের কনটেন্টটি লিখেছি। আপনারা অবশ্যই যেকোনো ধরনের ঔষধ সেবনের ক্ষেত্রে সচেতন থাকবেন এবং ডাক্তারের কাছে যাবেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সংসার পেজের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url