ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগীর খাবার তালিকা
অতিরিক্তি মাসিক বন্ধের ঘরোয়া উপায়ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগীর খাবার তালিকা—এটা শুধু একটি ডায়েট চার্ট নয়, বরং প্রতিদিনের বাঁচার লড়াইয়ের অংশ। এই দুই রোগে আক্রান্তদের জীবনযাপন ও খাদ্যতালিকা সাধারণ মানুষের চেয়ে অনেকটাই ভিন্ন।
ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগীর খাবার তালিকা নিয়ে একটি সহজ ও সুন্দর সুচিপত্র
- ডায়াবেটিক ও কিডনি রোগ দুইটাই একসাথে থাকলে কি কি খাবারে সাবধান হবেন
- ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগীর জন্য আদর্শ খাবার তালিকাঃ কি খাবেন, কি এড়াবেন
- দিনের শুরুটা হোক হালকা ও পুষ্টিতে ভরপুর খাবার দিয়ে
- দুপুরের খাবারে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেটের ভারসাম্য রক্ষা
- পরিমিত থাকুক রাতের খাবার
- বেশ কিছু হেলদি স্ন্যাকস এর আইডিয়া
- দিনে কতটুকু পানি পান করবেন এবং কতটুকু হাটাহাটি করবেন
- উপসংহারঃ একটু সাবধানতায় আপনিও পেতে পারেন সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন যাপন
ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগ দুইটাই একসাথে থাকলে কি কি খাবারে সাবধান হবেন
ডায়াবেটিস ও কিডনি দুইটাই খুবই মারাত্মক রোগ তাই কোন মানুষ এই দুই রোগে একসাথে আক্রান্ত হলে অবশ্যই তাকে খাবার গ্রহণের ব্যপারে সচেতন হতে হবে। কারণ এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো কিডনি রোগীর জন্য ভালো হলেও, ডায়াবেটিস রোগীর জন্য ক্ষতিকর। তাহলে চলুন দেখে নেই কোন খাবার ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগীর জন্য নিরাপদ নয়ঃ
অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার যেমনঃ চিপস, আঁচার, সস, ক্যান ফুড ইত্যাদি থেকে সাবধান থাকতে হবে। অতিরিক্ত লবণ দিয়ে রান্না করা যাবেনা। শরীরকে সুস্থ রাখতে ভাজাভুজি বা সকল ধরণের ফাস্ট ফুড সব সময় বাদ দিতে হবে। চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার পরিহার করুন। মিষ্টি, চকলেট, কেক, সফট ড্রিংকস, সাদা পাউরুটি, সাদা ভাত এই সকল খাবার আপনার খাদ্য তালিকা থেকে একেবারে বাদ দিয়ে দিন কারণ এগুলো আপনার রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দিবে এবং আপনার কিডনিও খুব দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আরো পড়ুন: অতিরিক্ত মাসিক বন্ধ করার ঘরোয়া উপায়
ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগ নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত প্রোটিন নির্ভর হওয়া যাবেনা। গরু, খাসী, মহিষ ইত্যাদি প্রাণীর মাংস বা লাল মাংস খাওয়া একেবারে নিষিদ্ধ। এর জন্য আপনি আপনার ডাক্তারের পরামর্শ অবশ্যই নিবেন। প্রোটিন শরীরের ভেঙ্গে সেগুলো ইউরিয়ায় পরিণত হয় যা আমাদের কিডনি ড্যামেজ করতে মোক্ষম ভূমিকা পালন করে। অতিরিক্ত পটাশিয়াম ও ফসফরাস যুক্ত খাবার খাওয়া যাবেনা। যেমনঃ কলা, কমলা, টমেটো, আলু, দুধ, বাদাম, বীজ ইত্যাদি খাবার খুবই পরিমিত মাত্রায় খেতে হবে।একটি স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের তালিকা রোগীকে সুস্থ জীবনের পথে এগিয়ে নিতে সহায়ক। তাই আপনারা অবশ্যই খাবারগুলো খাবার ব্যপারে সচেতন থাকবেন।
ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগীর জন্য আদর্শ খাবার তালিকাঃ কি খাবেন, কি এড়াবেন
ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগ নিয়ন্ত্রনে ডায়েট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, শরীরে শক্তি উৎপাদন ও মানুষিক সুস্থতার জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ডায়াবেটিস বা কিডনি রোগের জন্য কিছু খাবার আপনার জীবন থেকে যে একেবারে বাদ দিয়ে দিতে হবে এমনটা না তবে অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। প্রত্যেকদিনের খাবার তালিকায় ভিন্নতা আনতে হবে তাহলে ডায়েট মেনে চলতে এক ঘেয়ামি আসবেনা। ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগী কি কি খাবেন আর কি কি এড়িয়ে চলবেন সেই বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেওয়া হলোঃ
ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগীর জন্য খাবার তালিকা হিসাবে বেশকিছু স্বাস্থ্যকর খাবার ও তার পুষ্টিগুণ নিয়ে আলোচনা করা হবে এই পয়েন্টে। সব থেকে উত্তম খাবার হলো শাক সবজি। বেশি বেশি শাক সবজি খেতে হবে কারণ এতে ভিটামিন ও খনিজের পরিমাণ বেশি থাকে। বাঁধাকপি, ফুলকপি, লাউ, কুমড়া, লাল শাক, ডাটা শাক ইত্যাদি বিভিন্ন ধরণের শাক খেতে পারেন এতে কার্বোহাইড্রেট ও শর্করা কম থাকে এবং ফাইবার বেশি থাকে যা আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি করবে। তবে কিডনি ভালো রাখতে পালং শাক এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
সিজিনাল ফল যেমন পেয়ারা, বড়ই, লটকন, জাম ইত্যাদি খাবেন। তবে অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় ফল খাওয়া যাবেনা। যেমনঃ কলা, কমলা, আম, তাল, মিষ্টি আলু ইত্যাদি। এমনকি ফলের রস করেও খাওয়া যাবেনা কারণ ফলের ফাইবার নষ্ট হয়ে যায় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। মাছ, মাংস ও ডিম নিয়ম মেনে পরিমাণ মতো খাবেন। ডিমের কুসুম এবং লাল মাংস বা প্রক্রিয়াজাত মাংস খাওয়া যাবেনা। সামুদ্রিক মাছে ফ্যাটি-এসিড বা ওমেগা-৩ আছে যা আমাদের হার্ট ভালো রাখে। দুধ বা দুধ জাতীয় খাবার অতিরিক্ত পরিমাণে না খাওয়া কারণ এতে চর্বির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে এবং কলেস্ট্রলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। অতিরিক্ত বীজ বা ডাল জাতীয় খাবার বেশি করে খাওয়া যাবেনা।
দিনের শুরুটা হোক হালকা ও পুষ্টিতে ভরপুর খাবার দিয়ে
বেশিরভাগ মানুষ সকালের নাস্তায় হালকা কিছু খেতেই পছন্দ করেন। আমি সেই অনুযায়ী সকালের নাস্তার তালিকা তৈরি করে দিলাম। দিনের শুরুটা যদি হেলদি হয় সারাদিন আপনার স্টোমাক থাকবে সুস্থ ও সবল। শরীর সুস্থ রাখতে সকালের কিছু স্বাস্থ্যকর নাস্তার তালিকাঃ
- আমরা অনেকেই সকালে চা বা কফি খেতে পছন্দ করি। এই জন্য আপনি চিনি ছাড়া চা সাথে এক টুকরো লেবুর রস অ্যাড করে খেতে পারে। দুধ ছাড়া ১/২ কাপ ব্লাক কফি নিতে পারেন এতে আপনার মেটাবোলিজম শক্তি বৃদ্ধি করবে। এছাড়াও দারুচিনি ও ১ চামচ জিরা ফোটানো পানি চা এর পরিবর্তে খেতে পারেন।
- সকালে ১ টা ডিম সেদ্ধ কুসুম ছাড়া খেলে আপনার প্রোটিনের চাহিদা পুরন হবে। সাথে রাখতে পারেন ১ টা আপেল বা অর্ধেক পেয়ারা। এছাড়াও ওটস চিয়ার পুডিং খেতে পারেন বা একসাথে রান্না করতে পারেন দুধ ও চিনি ছাড়া।
- সব থেকে ভালো হয় লাল আটার ১-২ টা রুটি ও সবজি সিদ্ধ বা অল্প তেলে রান্না করা সবজি।
- অবশ্যই যা যা খাবেন না তা হলোঃ দুধ, পনির, দই, সাদা পাউরুটি, চিনি জাতীয় খাবার, বেকারি আইটেম, প্যাকেটের নাস্তা।
- যব, ভুট্টা থেকে বানানো ছাতু চিনি ছাড়াই খেতে পারেন সকালের নাস্তা হিসেবে। ফাইবার যুক্ত এই খাবার আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করবে।
দুপুরের খাবারে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেটের ভারসাম্য রক্ষা
একজন ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগীর জন্য প্রত্যেক বেলার খাবার একটা নির্ধারিত সময় মতো খাওয়া ভালো। সকাল থেকে লম্বা কাজের বিরতিতে দুপুরের খাবার এবং হালকা একটা বিশ্রাম এই রোগে আক্রান্ত রোগীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চনুন দেখে নেই দুপুরের খাবার তালিকা কেমন হওয়া উচিত।
- দুপুরে ১ কাপ লাল চালের ভাত খাওয়ার অভ্যাস করতে পারলে খুবই উপকার হবে। লাল চালের ভাত রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় ধীরে ধীরে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, ভিটামিন, মিনারেলস ও লোক্যালরি যুক্ত এই ভাত আপনার শরীরকে স্থুল হতে বিরত রাখবে।
- করলা, কুমড়া, লাউ, ঝিঙ্গে, পটল, কাঁচা পেপে সহ এই ধরনের সব সবজি খেতে পারেন সেদ্ধ বা হালকা তেল মশলায় রান্না করে। চেষ্টা করবেন ভাজা ভুজি না খেতে।
- এছাড়াও প্রোটিনের চাহিদা পূরণে মাছ ও মাংসের চাহিদা অনেক বেশি। তাই দুপুরের খাবার তালিকায় রাখতে পারেন ১ টুকরো মাছ বা মুরগীর মাংস। অবশ্যই তেল ছাড়া মাছ খেতে হবে, ছোট মাছ বা সামুদ্রিক খেতে পারলে অনেক ধরনের পুষ্টি চাহিদা পুরন হয়ে যাবে।
- মুগ অথবা মটর ডাল পাতলা করে দুপুরের খাবারে রাখতে পারেন। আপনার শরীরে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, শর্করা, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, সহ আরও অনেক পুষ্টি চাহিদা পুরন করে থাকে ফাইবার যুক্ত এই খাবার।
- রান্নায় অবশ্যই কম লবণ ব্যবহার করতে হবে এবং খাবার আগে ও পরে ১ গ্লাস উষ্ণ গরম পানি খেতে পারেন। এতে করে আপনার মেটাবোলিজম শক্তি দ্রুতই কার্যকর হবে।
পরিমিত থাকুক রাতের খাবার
সারাদিনের ক্লান্তি শেষে আমাদের শরীর চাই বিশ্রাম। তাই রাতের বেলা আপনাকে পরিমিত আকারে খেতে হবে এবং চেষ্টা করবেন ঘুমানোর ৩ ঘণ্টা আগেই খাবার খেতে অর্থাৎ সন্ধ্যা ৮ টার মধ্যে। এমন খাবার খাবেন না যাতে আপনার ঘুমের অসুবিধা হয় পেটের মধ্যে সমস্যা দেখা দেয়। যে সকল খাবার আপনার পাকস্থলী দ্রুত হজম করতে পারবে আপনি অবশ্যই সেই সকল খাবার বেছে নিবেন। চলুন দেখে নেই ডায়াবেটিক ও কিডনি রোগীর রাতের খাবার তালিকাঃ
- রাতের বেলা সবথেকে হেলদি খাবার হতে পারে স্যুপ। আপনি একটু কষ্ট করে বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন বিভিন্ন ধরনের সবজি, ডিম ও মুরগীর মাংস দিয়ে স্যুপ। অবশ্যই অতিরিক্ত লবণ, টেস্টিং সল্ট, সস ব্যবহার করবেন না।
- এছাড়া খেতে পারেন লাল আটার ১-২ টা রুটি বা লাল চালের আধা কাপ ভাত।
- লাউ, কুমড়া, পটল, ঝিঙ্গে ইত্যাদি সবজি সেদ্ধ বা পাতলা ঝোল।
- ১ টুকরো মাছ বা মাংস। এছাড়া যদি দুপুরে মাছ মাংস না খেয়ে থাকেন তবে ২ টুকরা মাছ বা ১ পিস মুরগীর ব্রেস্ট পিস দিয়েই হয়ে যেতে পারে আপনার রাতের খাবার। এতে করে অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট আপনার শরীরে ইনটেক হবেনা।
অবশ্যই প্রত্যেকটা খাবার আপনি ভালো করে চিবিয়ে খাবেন। তাহলে আপনার হজম ভালো হবে এবং ঘুমটাও সুন্দর হবে।
বেশকিছু হেলদি স্ন্যাকস এর আইডিয়া
স্ন্যাকস মানে আমরা শুধু বুঝি বাইরের খাবার বা প্যাকেটের খাবার। কিন্তু একবারও কি ভেবে দেখেছেন এই প্যাকেটজাত খাবার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকারক। তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন ঘরোয়া খাবারে আপনার চাহিদা বৃদ্ধি করতে। সকালের নাস্তার পর বেলা ১১-১২ টার দিকে হালকা খিদা লাগে তাই সকালে এবং বিকালে আমরা স্ন্যাকস হিসাবে হালকা কিছু বেছে নিব।
আরো পড়ুন: অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায়
তাহলে চলুন দেখে নেই ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগীর জন্য হেলদি স্ন্যাকসঃ
- আপেল, নাশপাতি অথবা পেয়ারা অর্ধেক স্লাইস খেতে পারেন। পাকা কলা ছোট হলে দুইটি এবং বড় হলে একটি খাবেন।
- শসা ও লেবু দিয়ে লো ক্যালরি যুক্ত মুড়ি মাখিয়ে খেতে পারেন। টেস্টের জন্য সামান্য অলিভ অয়েল তেল দিতে পারেন কিন্তু লবণ অবশ্যই দিবেন না।
- বিভিন্ন সবজি যেমনঃ গাজর, শসা, ক্যাপসিকাম, ব্রকলি সামান্য সেদ্ধ করে হালকা শটে করে খেতে পারেন। সাথে বাড়িতে বানানো পিনাট বাটার ১ চামচ।
- চিনি ছাড়া বানানো বিস্কিট ২ টা খেতে পারেন ১ কাপ চিনি ছাড়া লেবু চা এর সাথে
- ছোট ১ মুঠো সমান বাদাম ও কিশমিশে হয়ে যেতে পারে আপনার হেলদি নাস্তা। হেলদি ফ্যাট ও প্রোটিনের জোগান দেয়। এর ফলে দীর্ঘ সময় আপনার পেট ভরা থাকবে।
- সপ্তাহে ২ দিন ভাজা বুট বা হালকা মশলায় রান্না করা ছোলা বুট ১/২ কাপ পরিমাণে খেতে পারেন। এতে করে আপনার শরীর থাকবে এনার্জিতে ভরপুর।
- চিয়া পুডিং বানিয়ে খেতে পারেন ২ টা খেজুর ও ১ টেবিল চামচ টক দই এর সাথে।
- পছন্দ মত সবজি ১/২ কাপ ও ১/২ কাপ ওটস বা লাল আটা সামান্য পানি ও লবণ দিয়ে গাড়ো বা পাতলা আপনার পছন্দ মত করে নিবেন। প্যানে তেল ব্রাশ করে শুকনা করে বানিয়ে নিতে পারেন হেলদি ভেজিটেবল প্যান কেক।
এভাবে আপনি আপনার পছন্দ মতে প্রত্যেকদিন নতুন নতুন টেস্টের সাথে বানিয়ে নিতে পারেন আপনার হেলদি স্ন্যাকস।
দিনে কতটুকু পানি পান করবেন এবং কতটুকু হাঁটাহাঁটি করবেন
একজন ব্যক্তির যদি ডায়াবেটিস ও কিডনি দুই রোগেই একসাথে আক্রান্ত হন তাহলে অবশ্যই তাকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী হাঁটাহাঁটি ও পানি পান করতে হবে। কারণ দুইটাই ব্যালেন্স করে চলতে না পারলে সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকা কষ্টসাধ্য হবে। কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তি দৈনিক ১.৫-২ লিটার পানি পান করতে পারেন। প্রচণ্ডে গরমে একটু বেশি পানি পান করে তেমন সমস্যা হবেনা না।
সাথে এটাও বলা দরকার, শুধু পানি বা হাঁটা নয়—ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগীর খাবার তালিকা ঠিক করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। পরিমিত লবণ, কম চিনি, কম প্রোটিন, বেশি সবজি আর পরিমিত শস্যভিত্তিক খাদ্য রাখলে দিনটা একটু সহজে কাটে। সতর্কতার সঙ্গে ভালো থাকা—এই হোক আমাদের চেষ্টার নাম।
উপসংহারঃ একটু সাবধানতায় আপনিও পেতে পারেন সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন
একই সাথে ডায়াবেটিস ও কিডনি সমস্যায় আক্রান্ত রোগীর সুস্থ জীবনযাপন অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। সুস্থ থাকার জন্য তাকে অনেক বেশি সচেতন হতে হবে। ছোট ছোট জিনিস যেমনঃ হাঁটা, পানি খাওয়া, সকাল ও রাতের খাবার, এমনকি হালকা নাস্তা সব ব্যাপারে একটু নজর থাকা লাগবে। খাওয়া দাওয়া বিন্দু মাত্র এদিক ওদিক হলেই হতে পারে মারাত্মক বিপদ। ওজন ও রক্ত চাপ সবসময় নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। স্ট্রেস ও দুশ্চিন্তা যতোটা সম্ভব এড়িয়ে যাওয়া ভালো। পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম হচ্ছে এই রোগীদের সুস্থ থাকার জন্য অনেক বড় ঔষধ। এইভাবে প্রত্যেকদিন একটু সচেতনতার সাথে আপনি পেতে পারেন সুস্থ ও সুন্দর জীবনযাপন।
সংসার পেজের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url